ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 7

ছবি: সংগৃহীত

 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির একটি বেঞ্চে শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিন আদালত পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহানকে নিয়োগ দেন। এর আগে গত ১ জুন হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পায় রাষ্ট্রপক্ষ।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে।

এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে (বর্তমানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ) তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক নির্বাচনী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার লক্ষ্য ছিলেন শেখ হাসিনা। ঘটনায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী এবং আহত হন শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকেই আজীবনের জন্য শারীরিক ক্ষত ও মানসিক ট্রমা বয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ ঘটনায় দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও উচ্চ আদালতের দেওয়া খালাসের রায় নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এ রায় ন্যায়বিচারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং নৃশংস এক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করার শামিল। তাই সর্বোচ্চ আদালতে পূর্ণাঙ্গ শুনানি ও যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

শুনানি চলমান রয়েছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে জনমনে রয়েছে গভীর আগ্রহ ও উৎকণ্ঠা।

নিউজটি শেয়ার করুন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

আপডেট সময় ১১:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির একটি বেঞ্চে শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিন আদালত পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহানকে নিয়োগ দেন। এর আগে গত ১ জুন হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পায় রাষ্ট্রপক্ষ।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে।

এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে (বর্তমানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ) তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক নির্বাচনী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার লক্ষ্য ছিলেন শেখ হাসিনা। ঘটনায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী এবং আহত হন শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকেই আজীবনের জন্য শারীরিক ক্ষত ও মানসিক ট্রমা বয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ ঘটনায় দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও উচ্চ আদালতের দেওয়া খালাসের রায় নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এ রায় ন্যায়বিচারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং নৃশংস এক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করার শামিল। তাই সর্বোচ্চ আদালতে পূর্ণাঙ্গ শুনানি ও যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

শুনানি চলমান রয়েছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে জনমনে রয়েছে গভীর আগ্রহ ও উৎকণ্ঠা।