সচেতনতার অভাব: ডেঙ্গু ও করোনার চেয়ে বড় বিপদ

- আপডেট সময় ১০:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
- / 8
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেছেন যে, ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। তিনি ইমাম ও পুরোহিতদের মাধ্যমে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে এ বিষয়ে প্রচার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিজেদের অবস্থান থেকে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে করোনা ও ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নড়াইল সদর উপজেলা প্রশাসন এই সভার আয়োজন করে।
কমিশনার তার বক্তব্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন যে, প্লাস্টিক বর্জনের মাধ্যমেই পরিবেশ রক্ষা সম্ভব। তিনি নড়াইল পৌরসভাকে ‘অপরিকল্পিত’ আখ্যা দিয়ে জলাবদ্ধতা ও নাগরিক সমস্যা সমাধানে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন। এছাড়া, নড়াইল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাসও দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রশিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক জুলিয়া শুকায়না, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস, এনপিপি জেলা সভাপতি শরীফ মুনীর হোসেন, জামায়াতে ইসলাম নড়াইলের আমীর মো. আতাউর রহমান বাচ্চু, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি ওয়াকিউজ্জামান, শিক্ষক নেতা সাখাওয়াত হোসেন, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশীদ লাবলু, সাংবাদিক আসাদ রহমান প্রমুখ।
বক্তারা করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সচেতনতামূলক ব্যানার-ফেস্টুন টানানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। সভায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাইল হোসেন বাপ্পী ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধান অতিথি সদ্য নির্মিত উপজেলা হলরুমের উদ্বোধন করেন এবং উপজেলা চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি (ডিসি পার্ক) পরিদর্শন করেন।