ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনের অভাবেই দেশে অস্থিরতা, দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা: মির্জা ফখরুল সেন্ট মার্টিন রক্ষায় পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা নতুন যুগোপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা, বাতিল পুরনো নীতি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বোগোটায় বৈঠকে ২০টির বেশি দেশ “দেশ এখনও সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়”: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো একটি অদৃশ্য চক্র সক্রিয়ভাবে ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান শুল্কযুদ্ধের ছায়ায় কফি-কমলার বাজার, দুশ্চিন্তায় ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ২-৩টি আসনের প্রস্তাব ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এনসিপি কেনার সাধ্য কারো নেই: নাহিদ ইসলাম গণতন্ত্রকে বিপথে নিতে সংস্কারের নামে সূক্ষ্ম কারচুপি চলছে: ১২ দলীয় জোট প্রধান ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: টিটন গাজীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্কে ৭ গ্রামের মানুষ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় অধিবাসিদের মধ্যে। বিশেষ করে তালা উপজেলার ডুমুরিয়া, বালিয়া ও শাহজাতপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল যে কোন মুহুর্ত্বে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে নবাগত তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, নদীর তীব্র স্রোতে তীরবর্তি বিশাল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে। বালিয়া ভাঙনকূল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমিতি থেকে ইতিমধ্যে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এটি অস্থায়ী সমাধান এবং চাহিদার তুলনায় অতি সামান্য, স্থায়ী বাঁধ সংস্কারে সরকারি অর্থ বরাদ্দ অত্যাবশ্যক।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি সংস্কার না করলে বর্ষা মৌসুমে ডুমুরিয়া, শাহজাতপুরসহ অন্তত: সাতটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষায় দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম. লিয়াকত হোসেন জানান, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা একাধিকবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, কপোতাক্ষ নদের যে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেটি এলজিইডির আওতাধীন। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে সেখানে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়।

তালা উপজেলা প্রকৌশলী (প্রকৌশলী) রথীন্দ্র নাথ হালদার বলেন, বালিয়া ভাঙনকূল সমবায় সমিতির কাছে বাঁধটি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক মেরামতের কাজ শুরু করেছে।। পাশাপাশি এলজিইডির পক্ষ থেকেও বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্কে ৭ গ্রামের মানুষ

আপডেট সময় ০৪:২৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় অধিবাসিদের মধ্যে। বিশেষ করে তালা উপজেলার ডুমুরিয়া, বালিয়া ও শাহজাতপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল যে কোন মুহুর্ত্বে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে নবাগত তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, নদীর তীব্র স্রোতে তীরবর্তি বিশাল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে। বালিয়া ভাঙনকূল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমিতি থেকে ইতিমধ্যে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এটি অস্থায়ী সমাধান এবং চাহিদার তুলনায় অতি সামান্য, স্থায়ী বাঁধ সংস্কারে সরকারি অর্থ বরাদ্দ অত্যাবশ্যক।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি সংস্কার না করলে বর্ষা মৌসুমে ডুমুরিয়া, শাহজাতপুরসহ অন্তত: সাতটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষায় দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম. লিয়াকত হোসেন জানান, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা একাধিকবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, কপোতাক্ষ নদের যে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেটি এলজিইডির আওতাধীন। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে সেখানে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়।

তালা উপজেলা প্রকৌশলী (প্রকৌশলী) রথীন্দ্র নাথ হালদার বলেন, বালিয়া ভাঙনকূল সমবায় সমিতির কাছে বাঁধটি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক মেরামতের কাজ শুরু করেছে।। পাশাপাশি এলজিইডির পক্ষ থেকেও বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে।