ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

কুমিল্লার গোমতী নদীতে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে পানির স্তর, প্রস্তুত ৫৮৬ আশ্রয়কেন্দ্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

কুমিল্লার গোমতী ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীতে পানির স্তর, প্রস্তুত ৫৮৬ আশ্রয়কেন্দ্রভারী বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের কারণে কুমিল্লার গোমতী নদীতে পানির স্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও বুধবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে, তবে নদীর পানি বাড়ার ধারা এখনও থামেনি।

বুধবার (৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে গোমতী নদীর পানি ছিল ৯ দশমিক ৪২ মিটার। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় তা বেড়ে ৯ দশমিক ৬৮ মিটারে পৌঁছায়। মাত্র ৯ ঘণ্টায় ০.২৬ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

নদীর পানি বাড়ার প্রভাবে কুমিল্লার বিভিন্ন চরাঞ্চলে দুশ্চিন্তার ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালে টিক্কারচর, চান্দপুর, ঝাঁকুনিপাড়া এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বেড়িবাঁধের ওপর অবস্থান নিয়েছেন। স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ নদীর পানি আরও বাড়লে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে আশপাশের গ্রামগুলো।

টিক্কারচরের বাসিন্দা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, “গতকাল বিকেলেও পানি এতটা ছিল না। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পানি অনেক বেড়েছে। গতবারের চেয়ে এবার পানির গতি অনেক বেশি মনে হচ্ছে। যদি বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে।”

দেবীদ্বার, আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এরই মধ্যে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদীর পাশের অনেক নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানান, গোমতী নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩০ মিটার। বর্তমানে নদীর পানি এর চেয়ে ১ দশমিক ৬২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবেদ আলী জানান, গোমতী নদীর পানি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলায় ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুমিল্লার গোমতী নদীতে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে পানির স্তর, প্রস্তুত ৫৮৬ আশ্রয়কেন্দ্র

আপডেট সময় ১২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

কুমিল্লার গোমতী ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীতে পানির স্তর, প্রস্তুত ৫৮৬ আশ্রয়কেন্দ্রভারী বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের কারণে কুমিল্লার গোমতী নদীতে পানির স্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও বুধবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে, তবে নদীর পানি বাড়ার ধারা এখনও থামেনি।

বুধবার (৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে গোমতী নদীর পানি ছিল ৯ দশমিক ৪২ মিটার। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় তা বেড়ে ৯ দশমিক ৬৮ মিটারে পৌঁছায়। মাত্র ৯ ঘণ্টায় ০.২৬ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

নদীর পানি বাড়ার প্রভাবে কুমিল্লার বিভিন্ন চরাঞ্চলে দুশ্চিন্তার ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালে টিক্কারচর, চান্দপুর, ঝাঁকুনিপাড়া এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বেড়িবাঁধের ওপর অবস্থান নিয়েছেন। স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ নদীর পানি আরও বাড়লে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে আশপাশের গ্রামগুলো।

টিক্কারচরের বাসিন্দা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, “গতকাল বিকেলেও পানি এতটা ছিল না। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পানি অনেক বেড়েছে। গতবারের চেয়ে এবার পানির গতি অনেক বেশি মনে হচ্ছে। যদি বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে।”

দেবীদ্বার, আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এরই মধ্যে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদীর পাশের অনেক নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানান, গোমতী নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩০ মিটার। বর্তমানে নদীর পানি এর চেয়ে ১ দশমিক ৬২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবেদ আলী জানান, গোমতী নদীর পানি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলায় ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।