০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবেশবিনাশী টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: গবেষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 51

ছবি সংগৃহীত

 

২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবেশবিনাশী ক্রীড়া আয়োজন। এমনটাই দাবি করেছে পরিবেশবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘সায়েন্টিস্টস ফর গ্লোবাল রেসপনসিবিলিটি’ (এসজিআর)।

এসজিআরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ৪৮ দলের সম্প্রসারিত এই বিশ্বকাপে মোট ১০৪টি ম্যাচ আয়োজনের ফলে নির্গত হবে প্রায় ৯ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড সমতুল্য (CO₂e) গ্যাস। এই পরিমাণ নির্গমন আগের চারটি বিশ্বকাপের গড় নির্গমনের প্রায় দ্বিগুণ এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের চেয়ে অনেক বেশি, যেখানে নির্গমন হয়েছিল সর্বোচ্চ ৫.২৫ মিলিয়ন টন।

বিজ্ঞাপন

গবেষণা অনুযায়ী, এই নির্গমন প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন গড় ব্রিটিশ গাড়ি এক বছর চালালে যতটা দূষণ হয়, তার সমান। ফলে ২০২৬ সালের আসরটি হতে যাচ্ছে “সবচেয়ে জলবায়ু-ক্ষতিকর” বিশ্বকাপ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, টুর্নামেন্টের পরিসর ও দীর্ঘ ভ্রমণ, বিশেষ করে আকাশপথে চলাচল, এই বিপুল কার্বন নির্গমনের মূল কারণ। যদিও সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বিদ্যমান স্টেডিয়ামগুলোতেই, তবুও আয়োজক তিন দেশের বিস্তৃত ভৌগোলিক পরিসরের কারণে পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ড’ ও ‘স্পোর্ট ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক’-এর সহযোগিতায়। জানা গেছে, তিন আয়োজক দেশের বিড বইয়ে শুরুতে ৮০টি ম্যাচের জন্য সম্ভাব্য কার্বন নির্গমন ধরা হয়েছিল ৩.৬ মিলিয়ন টন। তখন আয়োজকরা পরিবেশবান্ধব বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।

এখনো ফিফা এই প্রতিবেদন নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সংস্থাটি ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ‘নেট-জিরো’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

তবে আগেও ফিফার পরিবেশবান্ধব দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০২৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ফেয়ারনেস কমিশন জানায়, কাতার বিশ্বকাপকে ‘কার্বন-নিরপেক্ষ’ দাবি করা ছিল ‘অভিহিতহীন ও বিভ্রান্তিকর’। ইউরোপের পাঁচটি দেশের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়।

সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবেশবিনাশী টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: গবেষণা

আপডেট সময় ০২:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবেশবিনাশী ক্রীড়া আয়োজন। এমনটাই দাবি করেছে পরিবেশবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘সায়েন্টিস্টস ফর গ্লোবাল রেসপনসিবিলিটি’ (এসজিআর)।

এসজিআরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ৪৮ দলের সম্প্রসারিত এই বিশ্বকাপে মোট ১০৪টি ম্যাচ আয়োজনের ফলে নির্গত হবে প্রায় ৯ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড সমতুল্য (CO₂e) গ্যাস। এই পরিমাণ নির্গমন আগের চারটি বিশ্বকাপের গড় নির্গমনের প্রায় দ্বিগুণ এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের চেয়ে অনেক বেশি, যেখানে নির্গমন হয়েছিল সর্বোচ্চ ৫.২৫ মিলিয়ন টন।

বিজ্ঞাপন

গবেষণা অনুযায়ী, এই নির্গমন প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন গড় ব্রিটিশ গাড়ি এক বছর চালালে যতটা দূষণ হয়, তার সমান। ফলে ২০২৬ সালের আসরটি হতে যাচ্ছে “সবচেয়ে জলবায়ু-ক্ষতিকর” বিশ্বকাপ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, টুর্নামেন্টের পরিসর ও দীর্ঘ ভ্রমণ, বিশেষ করে আকাশপথে চলাচল, এই বিপুল কার্বন নির্গমনের মূল কারণ। যদিও সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বিদ্যমান স্টেডিয়ামগুলোতেই, তবুও আয়োজক তিন দেশের বিস্তৃত ভৌগোলিক পরিসরের কারণে পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ড’ ও ‘স্পোর্ট ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক’-এর সহযোগিতায়। জানা গেছে, তিন আয়োজক দেশের বিড বইয়ে শুরুতে ৮০টি ম্যাচের জন্য সম্ভাব্য কার্বন নির্গমন ধরা হয়েছিল ৩.৬ মিলিয়ন টন। তখন আয়োজকরা পরিবেশবান্ধব বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।

এখনো ফিফা এই প্রতিবেদন নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সংস্থাটি ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ‘নেট-জিরো’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

তবে আগেও ফিফার পরিবেশবান্ধব দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০২৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ফেয়ারনেস কমিশন জানায়, কাতার বিশ্বকাপকে ‘কার্বন-নিরপেক্ষ’ দাবি করা ছিল ‘অভিহিতহীন ও বিভ্রান্তিকর’। ইউরোপের পাঁচটি দেশের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়।

সূত্র: বিবিসি