ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ চলতি মাসের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক সাভারে বিশেষ অভিযান শীর্ষ সন্ত্রাসী টুটুল গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া কোনো নীতিই ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে পারবে না: গভর্নর গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৪৯২ ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন নির্বাচনের বিলম্বে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে: মির্জা ফখরুল দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে কর্মকর্তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান বধিরতা জয় করল বিজ্ঞান: শ্রবণশক্তি ফেরাতে জিন থেরাপির নতুন কৌশল

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষের কারণে দেশটির হাজার হাজার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ভারতের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, গত ২ জুলাই মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের কয়েকটি কৌশলগত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) এবং চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালংরাম (সিডিএফ-এইচ) এর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পরপরই চিন রাজ্যের বহু বাসিন্দা সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে ঢুকে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে প্রায় চার হাজার শরণার্থী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের চিন রাজ্যের বহু এলাকা এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা ভারতের মিজোরামের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক জাতিগত সম্পর্কও রয়েছে, ফলে সীমান্ত পেরিয়ে আসা শরণার্থীদের অনেকেই মিজোরামে স্বজনের মতো পরিবেশ পান।

মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা জানিয়েছেন, চিন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে নতুন করে শরণার্থীদের আগমন শুরু হয়েছে। তার ভাষায়, ‘‘চিন রাজ্যের সংঘর্ষ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানবিক কারণে আমরা বাধ্য হয়েছি তাদের খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে।’’

তিনি আরও জানান, বাস্তবে মিয়ানমার থেকে নতুন করে অন্তত তিন হাজার শরণার্থী ইতিমধ্যে মিজোরামে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে অস্থিরতা শুরু হলে বহু মানুষ মিজোরামে এসে আশ্রয় নেয়। তখন থেকেই রাজ্যটি মানবিক সহায়তার মনোভাব নিয়ে মিয়ানমারের শরণার্থীদের সহায়তা করে যাচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ

আপডেট সময় ০৮:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষের কারণে দেশটির হাজার হাজার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ভারতের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, গত ২ জুলাই মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের কয়েকটি কৌশলগত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) এবং চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালংরাম (সিডিএফ-এইচ) এর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পরপরই চিন রাজ্যের বহু বাসিন্দা সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে ঢুকে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে প্রায় চার হাজার শরণার্থী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের চিন রাজ্যের বহু এলাকা এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা ভারতের মিজোরামের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক জাতিগত সম্পর্কও রয়েছে, ফলে সীমান্ত পেরিয়ে আসা শরণার্থীদের অনেকেই মিজোরামে স্বজনের মতো পরিবেশ পান।

মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা জানিয়েছেন, চিন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে নতুন করে শরণার্থীদের আগমন শুরু হয়েছে। তার ভাষায়, ‘‘চিন রাজ্যের সংঘর্ষ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানবিক কারণে আমরা বাধ্য হয়েছি তাদের খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে।’’

তিনি আরও জানান, বাস্তবে মিয়ানমার থেকে নতুন করে অন্তত তিন হাজার শরণার্থী ইতিমধ্যে মিজোরামে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে অস্থিরতা শুরু হলে বহু মানুষ মিজোরামে এসে আশ্রয় নেয়। তখন থেকেই রাজ্যটি মানবিক সহায়তার মনোভাব নিয়ে মিয়ানমারের শরণার্থীদের সহায়তা করে যাচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।