০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 93

ছবি সংগৃহীত

 

ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি সাত আসামি পলাতক রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী এবং ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ এবং যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সেখানে পৌঁছালে মোটরসাইকেলের আরোহীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ দেখতে পায়, মোটরসাইকেলটি ছিল ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তার ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ তৈরি হয়।

পরবর্তীতে পুলিশ জানতে পারে, সেদিন সন্ধ্যায় ইফতার শেষে নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে ফিরছিলেন মিরাজুল ইসলাম। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের একটি পানিভর্তি ডোবা থেকে তার হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও অন্যান্য সরকারি মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৭:৩৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি সাত আসামি পলাতক রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী এবং ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ এবং যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সেখানে পৌঁছালে মোটরসাইকেলের আরোহীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ দেখতে পায়, মোটরসাইকেলটি ছিল ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তার ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ তৈরি হয়।

পরবর্তীতে পুলিশ জানতে পারে, সেদিন সন্ধ্যায় ইফতার শেষে নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে ফিরছিলেন মিরাজুল ইসলাম। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের একটি পানিভর্তি ডোবা থেকে তার হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও অন্যান্য সরকারি মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।