ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ চলতি মাসের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক সাভারে বিশেষ অভিযান শীর্ষ সন্ত্রাসী টুটুল গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া কোনো নীতিই ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে পারবে না: গভর্নর গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৪৯২ ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন নির্বাচনের বিলম্বে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে: মির্জা ফখরুল দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে কর্মকর্তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান বধিরতা জয় করল বিজ্ঞান: শ্রবণশক্তি ফেরাতে জিন থেরাপির নতুন কৌশল

জাপানের দ্বীপপুঞ্জে ১৬০০ বার ভূমিকম্পের আঘাত, আতঙ্কিত দ্বীপবাসী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আকুসেকি দ্বীপসহ আশপাশের এলাকায় এ সময়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন স্থানীয় মেয়র জেনিচিরো কুবো।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আকুসেকি দ্বীপে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, টানা কম্পনে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। রবিবার মধ্যরাতে ৫.১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আকুসেকি দ্বীপের ৮৯ জন বাসিন্দার মধ্যে ইতোমধ্যেই ৪৪ জন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য কাগোশিমা শহরে সরে গিয়েছেন। পাশের আরেকটি দ্বীপ থেকেও ১৫ জন মানুষ এলাকা ছেড়েছেন। মেয়র কুবোর তথ্য অনুযায়ী, এই পৌরসভার অধীনে সাতটি বসতিপূর্ণ এবং পাঁচটি অনাবাসিক দ্বীপ রয়েছে, যেখানে কাগোশিমা থেকে ফেরিতে যাতায়াত করতে সময় লাগে প্রায় ১১ ঘণ্টা।

জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি জানায়, গত ২১ জুন থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে ১ হাজার ৫৮২টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে, যা ‘সিসমিক স্বর্ম’ বা দলবদ্ধ ভূকম্পনের উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সমুদ্রের তলদেশে আগ্নেয়গিরির কার্যক্রম কিংবা ম্যাগমা প্রবাহ এর পেছনে দায়ী হতে পারে। তবে এই কম্পনের স্থায়িত্ব ঠিক কতদিন চলবে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ভূতাত্ত্বিকরা।
মেয়র কুবো বলেন, “সামনে কী ঘটতে পারে তা বলা কঠিন। কবে এই কম্পন শেষ হবে, সেটিও অনিশ্চিত।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একই এলাকায় ৩৪৬টি ভূমিকম্প হয়েছিল বলে আগের রেকর্ডে জানা যায়।

ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে জাপান শীর্ষে। চারটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত এ দেশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এর অংশ হওয়ায় প্রায়ই ভয়াবহ কম্পনের মুখে পড়ে। এখানে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার ৫০০টির বেশি ভূমিকম্প হয়ে থাকে, যা বৈশ্বিক ভূমিকম্পের প্রায় ১৮ শতাংশ।

এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় কিছু বিদেশি পর্যটক জাপান সফর বাতিল করছেন। ২০২১ সালে পুনঃপ্রকাশিত একটি মাঙ্গা কমিকে ২০২৫ সালের ৫ জুলাই ভয়াবহ ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী দেখানো হয়েছিল, যা ঘটেনি। তবুও সেই পুরনো কল্পনা ঘিরেই আতঙ্ক নতুন করে জেগে উঠেছে।

সূত্র: আরব নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

জাপানের দ্বীপপুঞ্জে ১৬০০ বার ভূমিকম্পের আঘাত, আতঙ্কিত দ্বীপবাসী

আপডেট সময় ০৪:৫৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহে একের পর এক কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আকুসেকি দ্বীপসহ আশপাশের এলাকায় এ সময়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন স্থানীয় মেয়র জেনিচিরো কুবো।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আকুসেকি দ্বীপে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, টানা কম্পনে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। রবিবার মধ্যরাতে ৫.১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আকুসেকি দ্বীপের ৮৯ জন বাসিন্দার মধ্যে ইতোমধ্যেই ৪৪ জন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য কাগোশিমা শহরে সরে গিয়েছেন। পাশের আরেকটি দ্বীপ থেকেও ১৫ জন মানুষ এলাকা ছেড়েছেন। মেয়র কুবোর তথ্য অনুযায়ী, এই পৌরসভার অধীনে সাতটি বসতিপূর্ণ এবং পাঁচটি অনাবাসিক দ্বীপ রয়েছে, যেখানে কাগোশিমা থেকে ফেরিতে যাতায়াত করতে সময় লাগে প্রায় ১১ ঘণ্টা।

জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি জানায়, গত ২১ জুন থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে ১ হাজার ৫৮২টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে, যা ‘সিসমিক স্বর্ম’ বা দলবদ্ধ ভূকম্পনের উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সমুদ্রের তলদেশে আগ্নেয়গিরির কার্যক্রম কিংবা ম্যাগমা প্রবাহ এর পেছনে দায়ী হতে পারে। তবে এই কম্পনের স্থায়িত্ব ঠিক কতদিন চলবে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ভূতাত্ত্বিকরা।
মেয়র কুবো বলেন, “সামনে কী ঘটতে পারে তা বলা কঠিন। কবে এই কম্পন শেষ হবে, সেটিও অনিশ্চিত।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একই এলাকায় ৩৪৬টি ভূমিকম্প হয়েছিল বলে আগের রেকর্ডে জানা যায়।

ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে জাপান শীর্ষে। চারটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত এ দেশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এর অংশ হওয়ায় প্রায়ই ভয়াবহ কম্পনের মুখে পড়ে। এখানে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার ৫০০টির বেশি ভূমিকম্প হয়ে থাকে, যা বৈশ্বিক ভূমিকম্পের প্রায় ১৮ শতাংশ।

এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় কিছু বিদেশি পর্যটক জাপান সফর বাতিল করছেন। ২০২১ সালে পুনঃপ্রকাশিত একটি মাঙ্গা কমিকে ২০২৫ সালের ৫ জুলাই ভয়াবহ ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী দেখানো হয়েছিল, যা ঘটেনি। তবুও সেই পুরনো কল্পনা ঘিরেই আতঙ্ক নতুন করে জেগে উঠেছে।

সূত্র: আরব নিউজ