ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ চলতি মাসের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক সাভারে বিশেষ অভিযান শীর্ষ সন্ত্রাসী টুটুল গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া কোনো নীতিই ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে পারবে না: গভর্নর গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৪৯২ ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন নির্বাচনের বিলম্বে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে: মির্জা ফখরুল দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে কর্মকর্তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান বধিরতা জয় করল বিজ্ঞান: শ্রবণশক্তি ফেরাতে জিন থেরাপির নতুন কৌশল

ইরানে হামলার জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইরানে সাম্প্রতিক হামলার জন্য যদি ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় না আনা হয়, তাহলে পুরো অঞ্চল এবং তার বাইরেও ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে আরাগচি উল্লেখ করেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলা সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন ২২৩১-এর লঙ্ঘন। ২০১৫ সালের ওই রেজল্যুশনে সর্বসম্মতভাবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি মনে করিয়ে দেন।

গত মাসে ইসরায়েল ইরানের কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হঠাৎ হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান পাল্টা আক্রমণ করে। এ পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাতাঞ্জ, ফর্দো ও ইসফাহানসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। আরাগচি অভিযোগ করেন, এসব হামলায় ইসরায়েলের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ব্রিকস প্লাস জোটের অন্যান্য দেশগুলোও ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে। সম্মেলন থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ১৩ জুন থেকে ইরানের বিরুদ্ধে চালানো সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এতে বেসামরিক অবকাঠামো ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনার ওপর ইচ্ছাকৃত আঘাত হানা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।

এদিকে ইরান এই ব্রিকস বিবৃতিকে তাদের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবেই দেখছে।

ইসরায়েল টানা ১২ দিন ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে ইরানে অন্তত ৯৩৫ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়েছেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যাতে জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে অন্তত ২৯ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৪ জুন থেকে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানে হামলার জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:৪৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইরানে সাম্প্রতিক হামলার জন্য যদি ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় না আনা হয়, তাহলে পুরো অঞ্চল এবং তার বাইরেও ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে আরাগচি উল্লেখ করেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলা সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন ২২৩১-এর লঙ্ঘন। ২০১৫ সালের ওই রেজল্যুশনে সর্বসম্মতভাবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি মনে করিয়ে দেন।

গত মাসে ইসরায়েল ইরানের কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হঠাৎ হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান পাল্টা আক্রমণ করে। এ পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাতাঞ্জ, ফর্দো ও ইসফাহানসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। আরাগচি অভিযোগ করেন, এসব হামলায় ইসরায়েলের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ব্রিকস প্লাস জোটের অন্যান্য দেশগুলোও ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে। সম্মেলন থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ১৩ জুন থেকে ইরানের বিরুদ্ধে চালানো সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এতে বেসামরিক অবকাঠামো ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনার ওপর ইচ্ছাকৃত আঘাত হানা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।

এদিকে ইরান এই ব্রিকস বিবৃতিকে তাদের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবেই দেখছে।

ইসরায়েল টানা ১২ দিন ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে ইরানে অন্তত ৯৩৫ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়েছেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যাতে জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে অন্তত ২৯ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৪ জুন থেকে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।