১১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 69

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন প্যালেস্টাইন অ্যাকশন–কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। এর প্রতিবাদে লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে শত শত মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে অনেকেই ডাইরেক্ট অ্যাকশন মুভমেন্ট নামে চেনেন। সংগঠনটি মূলত যুক্তরাজ্যে ইসরাইল সমর্থিত প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছিল।

বুধবার (২ জুলাই) স্থানীয় সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে ভোটের মাধ্যমে সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ৩৮৫ জন সাংসদ, বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ২৬টি। এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।

ব্রিটিশ সরকার জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সম্প্রতি একটি সামরিক ঘাঁটিতে অনধিকার প্রবেশ করে দুটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ কারণেই তাদের কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সংগঠনটির সদস্য হওয়া কিংবা প্রকাশ্যে সমর্থন করাও এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বুধবার সন্ধ্যায় ডাউনিং স্ট্রিটে জড়ো হন শত শত আন্দোলনকারী। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ। বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে। তাদের অভিযোগ, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “আমাদের বাকস্বাধীনতা রক্ষা করা অপরিহার্য। গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলার স্বাধীনতাও আমাদের থাকা উচিত। ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেই সন্ত্রাসী হতে হবে, বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

এদিকে মানবাধিকার কর্মীরাও বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারের সমালোচনাকে দমিয়ে রাখার একধরনের কৌশল। তারা মনে করছেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

বিক্ষোভকারীরা এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান এবং গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন প্যালেস্টাইন অ্যাকশন–কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। এর প্রতিবাদে লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে শত শত মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে অনেকেই ডাইরেক্ট অ্যাকশন মুভমেন্ট নামে চেনেন। সংগঠনটি মূলত যুক্তরাজ্যে ইসরাইল সমর্থিত প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছিল।

বুধবার (২ জুলাই) স্থানীয় সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে ভোটের মাধ্যমে সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ৩৮৫ জন সাংসদ, বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ২৬টি। এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।

ব্রিটিশ সরকার জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সম্প্রতি একটি সামরিক ঘাঁটিতে অনধিকার প্রবেশ করে দুটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ কারণেই তাদের কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সংগঠনটির সদস্য হওয়া কিংবা প্রকাশ্যে সমর্থন করাও এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বুধবার সন্ধ্যায় ডাউনিং স্ট্রিটে জড়ো হন শত শত আন্দোলনকারী। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ। বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে। তাদের অভিযোগ, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “আমাদের বাকস্বাধীনতা রক্ষা করা অপরিহার্য। গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলার স্বাধীনতাও আমাদের থাকা উচিত। ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেই সন্ত্রাসী হতে হবে, বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

এদিকে মানবাধিকার কর্মীরাও বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারের সমালোচনাকে দমিয়ে রাখার একধরনের কৌশল। তারা মনে করছেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

বিক্ষোভকারীরা এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান এবং গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।