চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর দক্ষতার ওপর আস্থা রয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
- / 2
নৌবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় বেশি দক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। বুধবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সম্প্রতি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী অপারেটর নিয়োগ এবং তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে। তিনি বলেন, “সাইফ পাওয়ারটেক দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে কাজ করেছে। তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষে ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল, যা ৭ জুলাই শেষ হবে। এরপর আর তাদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না।”
এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেই বন্দর পরিচালনা করবে। তবে এতে কিছু সমস্যা হতে পারে, কারণ বন্দরের অন্যান্য কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসব বিবেচনায় বন্দরকে বিধি-বিধান এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে সুবিধা অনুযায়ী নতুন অপারেটর নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “বন্দরের এলাকায় নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড রয়েছে, যা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বন্দর কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। নৌবাহিনী বন্দর পরিচালনায় বেশি অভিজ্ঞ এবং তাদের নিজস্ব অপারেটর আছে। শিগগিরই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নৌবাহিনীর একটি চুক্তি হবে।”
সাইফ পাওয়ারটেকের বিষয়ে তিনি বলেন, “তারা প্রায় ১৬-১৭ বছর ধরে বন্দর পরিচালনায় কাজ করেছে। নৌবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তারা কাজ করবে বলে আমাকে জানিয়েছে।”
বন্দরের কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “যে যেই পদে আছেন, সেই পদেই থাকবেন। কারও চাকরি যাবে না, কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। আশা করি সবাই সহযোগিতা করবেন।”
ভবিষ্যতে বিদেশি কোম্পানিকে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বন্দর পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক কোনো কোম্পানি বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদেরও সুযোগ দেওয়া যাবে। এতে বন্দরের মালিকানা হস্তান্তর হচ্ছে না। এখন নৌবাহিনীকে দিচ্ছি, পরে প্রয়োজনে অন্য অপারেটরও আসতে পারে।”
ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখনো আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের ক্ষতি হয় এমন কোনো চুক্তি হবে না। তাদের বলেছি, প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ থেকেই জনবল নিতে হবে এবং প্রশিক্ষণ দিতে হবে, উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশ থেকে লোক নেওয়া যাবে না।”