ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

মিসরে মিনিবাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১৯ শ্রমিকের মৃত্যু, বেশিরভাগই কিশোরী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 6

ছবি: সংগৃহীত

মিসরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাজধানী কায়রোর উত্তরে মেনুফিয়ার আশমাউন শহরের একটি আঞ্চলিক সড়কে শ্রমিক বহনকারী একটি মিনিবাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই কিশোরী শ্রমিক বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকরা ভোরে কাজে যাচ্ছিলেন। সরকারি সংবাদপত্র আখবার আল-ইয়ুম জানায়, মিনিবাসটি কাফর আল-সানাবসা গ্রাম থেকে শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই ট্রাকের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। রাষ্ট্রীয় দৈনিক আল-আহরামে প্রকাশিত নিহতদের নাম-তালিকা অনুযায়ী, বেশিরভাগই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী, যাদের মধ্যে দুজনের বয়স মাত্র ১৪ বছর।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, মিসরে প্রায় ১৩ লাখ শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে, এবং গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই মিনিবাসে তারা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতের শিকার হয়। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ছে। শুক্রবারের এ দুর্ঘটনায় মাত্র তিনজন শ্রমিক প্রাণে বেঁচে গেছেন, যাদের জেনারেল আশমাউন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মিসরের শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ মিসরীয় পাউন্ড (প্রায় ৪ হাজার ডলার) এবং আহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার মিসরীয় পাউন্ড (প্রায় ৪০০ ডলার) করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মিসরের শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ জেবরান।

মেনুফিয়া প্রাদেশিক গভর্নর ইব্রাহিম আবু লেইমন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতিই এই দুর্ঘটনার পেছনে মূল কারণ। তিনি দেশের পরিবহন মন্ত্রণালয়কে আঞ্চলিক সড়কগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসেই একই রাস্তায় দুটি গাড়ির সংঘর্ষে একটি পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।

মিসরে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। গত বছর অক্টোবরেও কায়রো-আলেকজান্দ্রিয়া মরুভূমি সড়কে একটি বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ির সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন নিহত হন, যাদের ১৮ জনই আগুনে পুড়ে মারা যান।

সূত্র: রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

মিসরে মিনিবাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১৯ শ্রমিকের মৃত্যু, বেশিরভাগই কিশোরী

আপডেট সময় ১২:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

মিসরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাজধানী কায়রোর উত্তরে মেনুফিয়ার আশমাউন শহরের একটি আঞ্চলিক সড়কে শ্রমিক বহনকারী একটি মিনিবাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই কিশোরী শ্রমিক বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকরা ভোরে কাজে যাচ্ছিলেন। সরকারি সংবাদপত্র আখবার আল-ইয়ুম জানায়, মিনিবাসটি কাফর আল-সানাবসা গ্রাম থেকে শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই ট্রাকের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। রাষ্ট্রীয় দৈনিক আল-আহরামে প্রকাশিত নিহতদের নাম-তালিকা অনুযায়ী, বেশিরভাগই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী, যাদের মধ্যে দুজনের বয়স মাত্র ১৪ বছর।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, মিসরে প্রায় ১৩ লাখ শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে, এবং গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই মিনিবাসে তারা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতের শিকার হয়। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ছে। শুক্রবারের এ দুর্ঘটনায় মাত্র তিনজন শ্রমিক প্রাণে বেঁচে গেছেন, যাদের জেনারেল আশমাউন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মিসরের শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ মিসরীয় পাউন্ড (প্রায় ৪ হাজার ডলার) এবং আহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার মিসরীয় পাউন্ড (প্রায় ৪০০ ডলার) করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মিসরের শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ জেবরান।

মেনুফিয়া প্রাদেশিক গভর্নর ইব্রাহিম আবু লেইমন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতিই এই দুর্ঘটনার পেছনে মূল কারণ। তিনি দেশের পরিবহন মন্ত্রণালয়কে আঞ্চলিক সড়কগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসেই একই রাস্তায় দুটি গাড়ির সংঘর্ষে একটি পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।

মিসরে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। গত বছর অক্টোবরেও কায়রো-আলেকজান্দ্রিয়া মরুভূমি সড়কে একটি বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ির সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন নিহত হন, যাদের ১৮ জনই আগুনে পুড়ে মারা যান।

সূত্র: রয়টার্স