ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনের ক্ষমা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করে হত্যা, স্বামী সুমন গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত অন্তত ১৭, আহত বহু টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত ২১ জেলার কৃষি, তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন ও ফসলি জমি ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের চিন্তা সরকারের: ত্রাণ উপদেষ্টা তাপমাত্রা ও বজ্রসহ বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উইম্বলডন থেকে বিদায় জোকোভিচের, ফাইনালে মুখোমুখি আলকারাজ-সিনার নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে: উপ-প্রেস সচিব ব্যবসায়ী হত্যার ভিডিও প্রকাশে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে: যুবদল সভাপতি

২০০৬ বিশ্বকাপ দুর্নীতি: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে ১ লাখ ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে কর ফাঁকি ও আর্থিক জালিয়াতির মামলায় জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)-কে জরিমানা করেছে জার্মানির একটি আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, ডিএফবিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা গুনতে হবে। তবে মামলার দীর্ঘ মেয়াদ বিবেচনায় ২০ হাজার ইউরো মওকুফ করা হয়েছে।

এই মামলার পটভূমিতে রয়েছে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে ডিএফবির ৬৭ লাখ ইউরো পরিশোধ সংক্রান্ত বিতর্ক। ডিএফবি দাবি করেছিল, অর্থটি বিশ্বকাপের গালা অনুষ্ঠানের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এমন কোনো অনুষ্ঠানই অনুষ্ঠিত হয়নি।

তদন্তে উঠে এসেছে, বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা থেকে ১৭ কোটি ইউরো পাওয়ার নিশ্চয়তা অর্জনের লক্ষ্যে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছিল। আয়োজক কমিটির মাধ্যমে এই অর্থ আদান-প্রদানের পরিকল্পনা করেন ডিএফবির তৎকালীন কর্মকর্তারা। উল্লেখযোগ্যভাবে, অর্থটি পরোক্ষভাবে ফিফার মাধ্যমে জার্মানির ক্রীড়া সরঞ্জাম নির্মাতা অ্যাডিডাসের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী রবার্ট লুই-ড্রেফাসকে প্রদান করা হয়।

মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় ডিএফবির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। যদিও ডিএফবি বারবার এই অর্থের স্বচ্ছতা নিয়ে সাফাই দিয়েছে, আদালত সেটি গ্রহণ করেনি। ফলে তাদের জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

এই ঘটনায় জার্মান ফুটবলের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্ন। বিশ্বকাপের মতো বৃহৎ আয়োজনকে ঘিরে এমন দুর্নীতির অভিযোগ শুধু ডিএফবির ওপর নয়, বরং গোটা ফুটবল ব্যবস্থাপনাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

ডিএফবি যদিও আপাতত এই রায় মেনে নিয়েছে, তবে ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে আরও কঠোর ও স্বচ্ছ নীতি গ্রহণ করা জরুরি। অন্যথায় ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরগুলো নিয়েই জনমনে সন্দেহ থেকে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০০৬ বিশ্বকাপ দুর্নীতি: জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে ১ লাখ ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা

আপডেট সময় ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে কর ফাঁকি ও আর্থিক জালিয়াতির মামলায় জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)-কে জরিমানা করেছে জার্মানির একটি আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, ডিএফবিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা গুনতে হবে। তবে মামলার দীর্ঘ মেয়াদ বিবেচনায় ২০ হাজার ইউরো মওকুফ করা হয়েছে।

এই মামলার পটভূমিতে রয়েছে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে ডিএফবির ৬৭ লাখ ইউরো পরিশোধ সংক্রান্ত বিতর্ক। ডিএফবি দাবি করেছিল, অর্থটি বিশ্বকাপের গালা অনুষ্ঠানের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এমন কোনো অনুষ্ঠানই অনুষ্ঠিত হয়নি।

তদন্তে উঠে এসেছে, বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা থেকে ১৭ কোটি ইউরো পাওয়ার নিশ্চয়তা অর্জনের লক্ষ্যে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছিল। আয়োজক কমিটির মাধ্যমে এই অর্থ আদান-প্রদানের পরিকল্পনা করেন ডিএফবির তৎকালীন কর্মকর্তারা। উল্লেখযোগ্যভাবে, অর্থটি পরোক্ষভাবে ফিফার মাধ্যমে জার্মানির ক্রীড়া সরঞ্জাম নির্মাতা অ্যাডিডাসের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী রবার্ট লুই-ড্রেফাসকে প্রদান করা হয়।

মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় ডিএফবির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। যদিও ডিএফবি বারবার এই অর্থের স্বচ্ছতা নিয়ে সাফাই দিয়েছে, আদালত সেটি গ্রহণ করেনি। ফলে তাদের জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

এই ঘটনায় জার্মান ফুটবলের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্ন। বিশ্বকাপের মতো বৃহৎ আয়োজনকে ঘিরে এমন দুর্নীতির অভিযোগ শুধু ডিএফবির ওপর নয়, বরং গোটা ফুটবল ব্যবস্থাপনাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

ডিএফবি যদিও আপাতত এই রায় মেনে নিয়েছে, তবে ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে আরও কঠোর ও স্বচ্ছ নীতি গ্রহণ করা জরুরি। অন্যথায় ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরগুলো নিয়েই জনমনে সন্দেহ থেকে যাবে।