০৭:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা আটকের পর যা বললেন গুলিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান

শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 80

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতে হাজির করার পর, শাহবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে, পল্টন থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন উপ-পরিদর্শক বিমান তরফদার। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হকের পাঁচদিন ও অপর দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

শাহবাগ থানার হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। আন্দোলনের একপর্যায়ে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। নিহতের স্ত্রী ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, পল্টন থানার হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশ নেয় বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই সমাবেশে অংশ নেন ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন। অভিযোগে বলা হয়, সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ আসামিরা হামলা চালিয়ে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন সায়মন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল সায়মন নিজেই বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, দুটি মামলাই বর্তমানে উচ্চ গুরুত্বের সাথে তদন্তাধীন, এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০৫:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতে হাজির করার পর, শাহবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে, পল্টন থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন উপ-পরিদর্শক বিমান তরফদার। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হকের পাঁচদিন ও অপর দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

শাহবাগ থানার হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। আন্দোলনের একপর্যায়ে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। নিহতের স্ত্রী ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, পল্টন থানার হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশ নেয় বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই সমাবেশে অংশ নেন ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন। অভিযোগে বলা হয়, সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ আসামিরা হামলা চালিয়ে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন সায়মন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল সায়মন নিজেই বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, দুটি মামলাই বর্তমানে উচ্চ গুরুত্বের সাথে তদন্তাধীন, এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।