ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবন রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট কনক্রিট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি: শিক্ষা উপদেষ্টা দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা: প্রেসসচিব ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেয়ার বাজার কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা ডেঙ্গু তাণ্ডব অব্যাহত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪, বরিশালে সর্বোচ্চ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

পাহাড়সম চাপ, টানা হারের বেদনা, আর তীব্র সমালোচনার হাওয়ার মধ্যেই গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ছিল দারুণ হতাশাজনক মাত্র ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইগাররা। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েও এমন ভগ্নদশা দেখে মনে হচ্ছিল, আবারও এক হতাশার দিন অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।

কিন্তু উইকেটে এসেই দৃঢ়তা ও প্রত্যয়ের বার্তা দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। যেন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন আর পেছনে ফেরা নয়। সেই প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন দেখা গেল পুরো দিনে। উইকেটের বিপর্যয় সামলে তারা গড়ে তুলেছেন অবিচ্ছিন্ন ২৪৭ রানের জুটি।

৯০ ওভার ব্যাট করে দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯২ রান ৩ উইকেটে। শেষ ৭৫ ওভারে আর কোনো উইকেট পড়েনি। শান্ত ২৬০ বল খেলে ১৩৬* এবং মুশফিক ১৮৬ বল মোকাবিলা করে ১০৫* রানে অপরাজিত আছেন। এটি ছিল শান্তর সেঞ্চুরি খরা কাটানোর ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২৩ সালে সিলেটে শেষ সেঞ্চুরির পর টানা ১১ টেস্টে শতকের দেখা পাননি তিনি। এদিকে মুশফিকও শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ১০ মাস ও ১৩ ইনিংস আগে।

তবে দিনের শুরুটা ছিল যেন দুঃস্বপ্ন। দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা শূন্য রানে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। এরপর ৩৯ রানে বিদায় নেন সাদমান ইসলাম (১৪)। ৪৫ রানে থেমে যায় মুমিনুল হকের লড়াকু ইনিংসও (২৯)। রাথনায়েকের ঘূর্ণিতে স্লিপে ধরা পড়েন তিনজনই।

এরপর শান্ত ও মুশফিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে প্রথমে মধ্যাহ্ন বিরতিতে ৯০ রান এবং চা বিরতিতে ১৩৭ রানের জুটিতে নিয়ে যান। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে গড়েছেন জোড়া শতক।

প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়ে ম্যাচে আধিপত্য তৈরি করতে এখন মুখিয়ে রয়েছে শান্তবাহিনী। গলের উইকেটে দ্বিতীয় দিনেও এই জুটি কতদূর যেতে পারে, সেটিই এখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা

আপডেট সময় ০৭:০৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

 

পাহাড়সম চাপ, টানা হারের বেদনা, আর তীব্র সমালোচনার হাওয়ার মধ্যেই গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ছিল দারুণ হতাশাজনক মাত্র ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইগাররা। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েও এমন ভগ্নদশা দেখে মনে হচ্ছিল, আবারও এক হতাশার দিন অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।

কিন্তু উইকেটে এসেই দৃঢ়তা ও প্রত্যয়ের বার্তা দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। যেন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন আর পেছনে ফেরা নয়। সেই প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন দেখা গেল পুরো দিনে। উইকেটের বিপর্যয় সামলে তারা গড়ে তুলেছেন অবিচ্ছিন্ন ২৪৭ রানের জুটি।

৯০ ওভার ব্যাট করে দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯২ রান ৩ উইকেটে। শেষ ৭৫ ওভারে আর কোনো উইকেট পড়েনি। শান্ত ২৬০ বল খেলে ১৩৬* এবং মুশফিক ১৮৬ বল মোকাবিলা করে ১০৫* রানে অপরাজিত আছেন। এটি ছিল শান্তর সেঞ্চুরি খরা কাটানোর ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২৩ সালে সিলেটে শেষ সেঞ্চুরির পর টানা ১১ টেস্টে শতকের দেখা পাননি তিনি। এদিকে মুশফিকও শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ১০ মাস ও ১৩ ইনিংস আগে।

তবে দিনের শুরুটা ছিল যেন দুঃস্বপ্ন। দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা শূন্য রানে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। এরপর ৩৯ রানে বিদায় নেন সাদমান ইসলাম (১৪)। ৪৫ রানে থেমে যায় মুমিনুল হকের লড়াকু ইনিংসও (২৯)। রাথনায়েকের ঘূর্ণিতে স্লিপে ধরা পড়েন তিনজনই।

এরপর শান্ত ও মুশফিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে প্রথমে মধ্যাহ্ন বিরতিতে ৯০ রান এবং চা বিরতিতে ১৩৭ রানের জুটিতে নিয়ে যান। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে গড়েছেন জোড়া শতক।

প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়ে ম্যাচে আধিপত্য তৈরি করতে এখন মুখিয়ে রয়েছে শান্তবাহিনী। গলের উইকেটে দ্বিতীয় দিনেও এই জুটি কতদূর যেতে পারে, সেটিই এখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।