ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবন রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট কনক্রিট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি: শিক্ষা উপদেষ্টা দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা: প্রেসসচিব ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেয়ার বাজার কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা ডেঙ্গু তাণ্ডব অব্যাহত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪, বরিশালে সর্বোচ্চ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

টিউলিপ সিদ্দিকেসহ রাজউকের ৯ সাবেক কর্মকর্তাকে দুদকের তলব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাট অবৈধভাবে গ্রহণের অভিযোগে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক নয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ঘটনার তদন্তে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সোমবার (১৭ জুন) রাজউক চেয়ারম্যানের বরাবর পাঠানো হয়। তাতে আগামী ২২ ও ২৩ জুন সংশ্লিষ্টদেরকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদক জানায়, টিউলিপ সিদ্দিকের প্রভাব খাটিয়ে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডকে অনৈতিকভাবে সুবিধা দিতে গিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দের মতো গুরুতর অনিয়ম ঘটেছে। সেই অনিয়মে জড়িত ছিলেন তৎকালীন রাজউক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম, সদস্য ভুইয়া রফিউদ্দিন ও কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, পরিচালক নুরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা।

তাদের প্রত্যেকেই কোনো না কোনো পর্যায়ে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট বরাদ্দ কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। দুদক বলছে, এসব কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে কী ধরনের দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটেছে, তা যাচাই করতেই এই তলব।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ফ্ল্যাট বরাদ্দে সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা এবং কোনো আর্থিক লেনদেন বা সুবিধা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, একই ঘটনায় টিউলিপ সিদ্দিককেও ২২ জুন দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন সংসদ সদস্য এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাকের সমসাময়িক রাজনীতিবিদ। তবে বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এটিই প্রথম, যা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে আরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাওয়া হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

টিউলিপ সিদ্দিকেসহ রাজউকের ৯ সাবেক কর্মকর্তাকে দুদকের তলব

আপডেট সময় ০২:০৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

 

রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাট অবৈধভাবে গ্রহণের অভিযোগে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক নয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ঘটনার তদন্তে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সোমবার (১৭ জুন) রাজউক চেয়ারম্যানের বরাবর পাঠানো হয়। তাতে আগামী ২২ ও ২৩ জুন সংশ্লিষ্টদেরকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদক জানায়, টিউলিপ সিদ্দিকের প্রভাব খাটিয়ে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডকে অনৈতিকভাবে সুবিধা দিতে গিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দের মতো গুরুতর অনিয়ম ঘটেছে। সেই অনিয়মে জড়িত ছিলেন তৎকালীন রাজউক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম, সদস্য ভুইয়া রফিউদ্দিন ও কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, পরিচালক নুরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা।

তাদের প্রত্যেকেই কোনো না কোনো পর্যায়ে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট বরাদ্দ কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। দুদক বলছে, এসব কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে কী ধরনের দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটেছে, তা যাচাই করতেই এই তলব।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ফ্ল্যাট বরাদ্দে সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা এবং কোনো আর্থিক লেনদেন বা সুবিধা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, একই ঘটনায় টিউলিপ সিদ্দিককেও ২২ জুন দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন সংসদ সদস্য এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাকের সমসাময়িক রাজনীতিবিদ। তবে বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এটিই প্রথম, যা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে আরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাওয়া হতে পারে।