ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

‘আইন আজই প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী কর্মস্থলে ফিরবে না’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

 

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়। সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের উদ্যোগে জোরালো প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১১টার দিকে পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবন ঘুরে প্রদক্ষিণ করে। পরে আরও একটি অংশ যোগ দেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন মো. নূরুল ইসলাম ও মো. মুজাহিদুল ইসলাম।

সমাবেশে মো. বাদিউল কবীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই আইন আজই প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী কর্মস্থলে ফিরবে না। দেশের প্রতিটি দপ্তর, সংস্থা ও বিভাগে কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ করে এই কালো আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।” তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আজই আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসে সমাধানের পথ বের হবে।

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, আজ আইন উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে বসবেন এবং যে সব ধারা সাধারণ কর্মচারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে সেগুলো বাতিল করা হবে।”

পরিষদের নেতা মো. নূরুল ইসলাম বলেন, “কয়েকজন চুক্তিভিত্তিক সচিব এই আইন করে কর্মচারীদের দমন করতে চেয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব নিজে মামলা থাকা অবস্থায় কীভাবে অফিস করেন? তিনি এই আইন করে দ্বিচারিতা করেছেন।”

তিনি দাবি করেন, এই আইন বাতিল না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে এবং জড়িত সচিবদের পদত্যাগ চাই। একইসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবিও জানান তিনি।

পরিষদের মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “এই কালো আইন জনবিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত। আইন প্রত্যাহার না হলে আগামীকাল থেকে তিনদিন ছুটি নিয়ে সচিবালয়ে কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকবেন।”

পরিশেষে পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর জানান, আজ দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাদামতলায় কর্মচারীদের জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘আইন আজই প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী কর্মস্থলে ফিরবে না’

আপডেট সময় ০৪:০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়। সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের উদ্যোগে জোরালো প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১১টার দিকে পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবন ঘুরে প্রদক্ষিণ করে। পরে আরও একটি অংশ যোগ দেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন মো. নূরুল ইসলাম ও মো. মুজাহিদুল ইসলাম।

সমাবেশে মো. বাদিউল কবীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই আইন আজই প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী কর্মস্থলে ফিরবে না। দেশের প্রতিটি দপ্তর, সংস্থা ও বিভাগে কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ করে এই কালো আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।” তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আজই আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসে সমাধানের পথ বের হবে।

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, আজ আইন উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে বসবেন এবং যে সব ধারা সাধারণ কর্মচারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে সেগুলো বাতিল করা হবে।”

পরিষদের নেতা মো. নূরুল ইসলাম বলেন, “কয়েকজন চুক্তিভিত্তিক সচিব এই আইন করে কর্মচারীদের দমন করতে চেয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব নিজে মামলা থাকা অবস্থায় কীভাবে অফিস করেন? তিনি এই আইন করে দ্বিচারিতা করেছেন।”

তিনি দাবি করেন, এই আইন বাতিল না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে এবং জড়িত সচিবদের পদত্যাগ চাই। একইসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবিও জানান তিনি।

পরিষদের মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “এই কালো আইন জনবিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত। আইন প্রত্যাহার না হলে আগামীকাল থেকে তিনদিন ছুটি নিয়ে সচিবালয়ে কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকবেন।”

পরিশেষে পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর জানান, আজ দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাদামতলায় কর্মচারীদের জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।