ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগরিকার হ্যাটট্রিক: শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ: পাবনায় ১০ নেতাকর্মীর বহিষ্কার কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান চারদিন সাগরে ভেসে থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার: এখনও নিখোঁজ ৩ বাংলাদেশে প্রথমবার মুক্তি পাচ্ছে নেপালি ছবি: ‘ন ডরাই’ এর বিনিময়ে ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭

নিশি ইসলামের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 55

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১২ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন বেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির, সেঁজুতি, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। বাকি ১০ আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুলাই।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শরিয়া মোতাবেক ৫০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাদী নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী। কিন্তু তিনি পূর্ববর্তী বিবাহিত জীবন গোপন রেখে প্রতারণার মাধ্যমে এ বিয়ে করেন। পরে বাদী জানতে পারেন, আলীর আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

বাদী অভিযোগ করেন, আলীর প্রথম সংসার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ছলচাতুরী ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী বাদীর বাসায় এসে বিয়ের তথ্য গোপন রাখার হুমকি দেন। এরপর ৪ মার্চ মো. আলীর অনুরোধে বাদী গুলশানের বাসায় গেলে পূর্বের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন। তখন আসামিরা তাকে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেন।

৫ মার্চ শাওন, এডিসি নাজমুলসহ অন্যরা বাদীর বাসায় ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চায়। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন তাকে মারধর করে, যাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে নিয়ে আবারও মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তখনকার ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানাকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন এবং পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিশি ইসলামের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৫:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১২ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন বেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির, সেঁজুতি, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। বাকি ১০ আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুলাই।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শরিয়া মোতাবেক ৫০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাদী নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী। কিন্তু তিনি পূর্ববর্তী বিবাহিত জীবন গোপন রেখে প্রতারণার মাধ্যমে এ বিয়ে করেন। পরে বাদী জানতে পারেন, আলীর আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

বাদী অভিযোগ করেন, আলীর প্রথম সংসার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ছলচাতুরী ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী বাদীর বাসায় এসে বিয়ের তথ্য গোপন রাখার হুমকি দেন। এরপর ৪ মার্চ মো. আলীর অনুরোধে বাদী গুলশানের বাসায় গেলে পূর্বের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন। তখন আসামিরা তাকে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেন।

৫ মার্চ শাওন, এডিসি নাজমুলসহ অন্যরা বাদীর বাসায় ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চায়। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন তাকে মারধর করে, যাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে নিয়ে আবারও মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তখনকার ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানাকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন এবং পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়।