ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

নিশি ইসলামের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১২ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন বেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির, সেঁজুতি, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। বাকি ১০ আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুলাই।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শরিয়া মোতাবেক ৫০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাদী নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী। কিন্তু তিনি পূর্ববর্তী বিবাহিত জীবন গোপন রেখে প্রতারণার মাধ্যমে এ বিয়ে করেন। পরে বাদী জানতে পারেন, আলীর আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

বাদী অভিযোগ করেন, আলীর প্রথম সংসার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ছলচাতুরী ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী বাদীর বাসায় এসে বিয়ের তথ্য গোপন রাখার হুমকি দেন। এরপর ৪ মার্চ মো. আলীর অনুরোধে বাদী গুলশানের বাসায় গেলে পূর্বের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন। তখন আসামিরা তাকে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেন।

৫ মার্চ শাওন, এডিসি নাজমুলসহ অন্যরা বাদীর বাসায় ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চায়। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন তাকে মারধর করে, যাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে নিয়ে আবারও মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তখনকার ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানাকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন এবং পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিশি ইসলামের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৫:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১২ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন বেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির, সেঁজুতি, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। বাকি ১০ আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুলাই।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শরিয়া মোতাবেক ৫০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাদী নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী। কিন্তু তিনি পূর্ববর্তী বিবাহিত জীবন গোপন রেখে প্রতারণার মাধ্যমে এ বিয়ে করেন। পরে বাদী জানতে পারেন, আলীর আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

বাদী অভিযোগ করেন, আলীর প্রথম সংসার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ছলচাতুরী ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী বাদীর বাসায় এসে বিয়ের তথ্য গোপন রাখার হুমকি দেন। এরপর ৪ মার্চ মো. আলীর অনুরোধে বাদী গুলশানের বাসায় গেলে পূর্বের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন। তখন আসামিরা তাকে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেন।

৫ মার্চ শাওন, এডিসি নাজমুলসহ অন্যরা বাদীর বাসায় ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চায়। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন তাকে মারধর করে, যাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে নিয়ে আবারও মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তখনকার ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানাকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন এবং পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়।