ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জয়ে ইতিহাস গড়ল টটেনহাম

- আপডেট সময় ১০:০০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / 8
দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ইউরোপা লিগের শিরোপা ঘরে তুলল টটেনহাম হটস্পার। বুধবার রাতে স্পেনের বিলবাও শহরের সান মামেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে ইংলিশ প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। এটি ২০০৮ সালের পর স্পার্সদের প্রথম বড় কোনো শিরোপা।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই খেলেছে রক্ষণভাগে নজর রেখে। আক্রমণের চেয়ে বল দখলে ও প্রতিপক্ষকে ঠেকানোতেই ছিল বেশি মনোযোগ। ফলে প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়ই কাটে নিরুত্তাপভাবে।
তবে বিরতির ঠিক আগে ৪২তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় টটেনহাম। ডান দিক থেকে পাপে সার এক ক্রস বাড়ালে সেটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ব্রেনান জনসন। কিন্তু জনসনের দৌড়ের গতি ও চাপের মুখে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শোর হাতে বল লেগে আবার জনসনের কাছেই ফিরে আসে। এরপর পায়ের হালকা ছোঁয়ায় বল জালে জড়ান তিনি। গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ঠেকানোর চেষ্টা করলেও পারেননি।
গোলটি কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়ায় এলেও সেটিই শেষ পর্যন্ত ফাইনালের একমাত্র ও শিরোপা নির্ধারণী গোল হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে তাদের আক্রমণে ধার ছিল না। যদিও একটি বড় সুযোগ এসেছিল ৬৫ মিনিটে। স্পার্স গোলরক্ষক গুলিয়েলমো ভিকারিও একটি সহজ বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হলে সুযোগ পান রাসমুস হইলুন্ড। হেড থেকে তার শট প্রায় গোললাইন পেরিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে মিকি ভ্যান ডে ভেন অসাধারণ ক্লিয়ারেন্সে দলকে রক্ষা করেন।
৭১ মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচোকে নামিয়ে আক্রমণে নতুন গতি আনার চেষ্টা করে ইউনাইটেড। পরের মিনিটেই ব্রুনো ফার্নান্দেস একটি হেড লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন। এরপর গার্নাচোর নিচু শট ও লুক শোর একটি দূরপাল্লার শট দারুণভাবে ঠেকান স্পার্স গোলরক্ষক ভিকারিও। শেষ পর্যন্ত কোনো গোল শোধ দিতে না পেরে হতাশায় মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।
টটেনহামের হয়ে ম্যাচজয়ী গোল করে ইতিহাস গড়েছেন ব্রেনান জনসন। তিনি ২০০৮ সালের পর প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্পার্সের পক্ষে গোল করলেন। ওই বছর চেলসির বিপক্ষে জয়সূচক গোল করেছিলেন জোনাথন উডগেট।
এই শিরোপা স্পার্সের ইউরোপা লিগ ইতিহাসে তৃতীয়। তারা এর আগে জিতেছিল ১৯৭১–৭২ এবং ১৯৮৩–৮৪ মৌসুমে, তখন প্রতিযোগিতাটির নাম ছিল ইউইএফএ কাপ। এবার জয় পাওয়ায় ইন্টার মিলান, লিভারপুল, জুভেন্টাস এবং অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী ক্লাব হিসেবে উঠে এল টটেনহাম। একমাত্র সেভিয়া (৭ বার) রয়েছে তাদের ওপরে।
এই জয়ের সুবাদে টটেনহাম সরাসরি পরবর্তী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।