০১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে শুরু হয় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এক ঐতিহাসিক লংমার্চ।

এই লংমার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ভারত কর্তৃক গঙ্গা নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা। মরণবাঁধ নামে পরিচিত ফারাক্কা ব্যারাজের বিরুদ্ধে এই জনজোয়ার পরিণত হয় এক শক্তিশালী গণআন্দোলনে।

বিজ্ঞাপন

লংমার্চ চলাকালীন রাজশাহী থেকে ফারাক্কার উদ্দেশ্যে অগ্রসরমান মিছিল ভারতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে মুখর ছিল। মজলুম জননেতা তার জ্বালাময়ী ভাষণে বলেন:

“তাদের জানা উচিত বাংলার মানুষ এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না। কারো হুমকিকে পরোয়া করে না। আজ যে ইতিহাস শুরু হয়েছে তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে।”

ফারাক্কা লংমার্চ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। এই দিনটি প্রতিবছর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জনগণের ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে স্মরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

আপডেট সময় ১২:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

 

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে শুরু হয় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এক ঐতিহাসিক লংমার্চ।

এই লংমার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ভারত কর্তৃক গঙ্গা নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা। মরণবাঁধ নামে পরিচিত ফারাক্কা ব্যারাজের বিরুদ্ধে এই জনজোয়ার পরিণত হয় এক শক্তিশালী গণআন্দোলনে।

বিজ্ঞাপন

লংমার্চ চলাকালীন রাজশাহী থেকে ফারাক্কার উদ্দেশ্যে অগ্রসরমান মিছিল ভারতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে মুখর ছিল। মজলুম জননেতা তার জ্বালাময়ী ভাষণে বলেন:

“তাদের জানা উচিত বাংলার মানুষ এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না। কারো হুমকিকে পরোয়া করে না। আজ যে ইতিহাস শুরু হয়েছে তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে।”

ফারাক্কা লংমার্চ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। এই দিনটি প্রতিবছর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জনগণের ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে স্মরণ করা হয়।