ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

ঢাবি ভিসিকে দোষী দেখিয়ে মূল সত্য আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিসের অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 51

ছবি সংগৃহীত

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘটে যাওয়া সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনার দায় ঢাবি প্রশাসনের ওপর চাপানো একটি অপচেষ্টা এবং সত্য আড়াল করার পাঁয়তারা।

সারজিস আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চসংলগ্ন এলাকা, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আওতার বাইরে। উদ্যানের ভেতরে চলা মাদক, চাঁদাবাজি ও অসামাজিক কার্যকলাপের পেছনে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে, যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব অপকর্ম চালায় বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি বলেন, “উদ্যান ও ক্যাম্পাসজুড়ে বসানো শতাধিক ভাসমান দোকান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ নয়। এগুলো বসিয়েছে কিছু চাঁদাবাজ সংগঠনের লোকজন, যারা প্রভাব খাটিয়ে সেগুলো থেকে অর্থ আদায় করে এবং সুরক্ষা দেয়।”

টিএসসি এলাকার চা দোকানগুলোকেও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ধ্বংসের দায়ে অভিযুক্ত করেন সারজিস। তিনি বলেন, “টিএসসির মূল ক্যাফেটেরিয়াকে কার্যত অচল করে প্রায় ৩০টি চায়ের দোকান বসানো হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন বহিরাগত, বখাটে, মাদকসেবীরা এসে পরিবেশ নষ্ট করছে।”

সারজিস আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এগোয়, তখনই বাধা দেওয়া হয় এবং ক্ষমতার দাপট দেখানো হয়। দোয়েল চত্বর, মেট্রোরেল স্টেশন ও শহিদ মিনার এলাকার দোকানগুলোকেও তিনি একইভাবে দায়ী করেন।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমরা নিজেরা যখন ক্যাম্পাসে মাদক, অবৈধ দোকান আর বহিরাগতদের আমন্ত্রণ জানাই, তখন কোনো দুর্ঘটনার জন্য কেবল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করা কতটা যৌক্তিক?”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করে শিক্ষার্থীদের জন্য সুলভ ও নিরাপদ ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে হবে। ক্যাম্পাসে যান চলাচল ও বহিরাগত প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

সবশেষে সারজিস আলম বলেন, “সাম্যের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যেন আর কোনো সাম্যকে হারাতে না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাবি ভিসিকে দোষী দেখিয়ে মূল সত্য আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিসের অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:২৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘটে যাওয়া সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনার দায় ঢাবি প্রশাসনের ওপর চাপানো একটি অপচেষ্টা এবং সত্য আড়াল করার পাঁয়তারা।

সারজিস আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চসংলগ্ন এলাকা, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আওতার বাইরে। উদ্যানের ভেতরে চলা মাদক, চাঁদাবাজি ও অসামাজিক কার্যকলাপের পেছনে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে, যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব অপকর্ম চালায় বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি বলেন, “উদ্যান ও ক্যাম্পাসজুড়ে বসানো শতাধিক ভাসমান দোকান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ নয়। এগুলো বসিয়েছে কিছু চাঁদাবাজ সংগঠনের লোকজন, যারা প্রভাব খাটিয়ে সেগুলো থেকে অর্থ আদায় করে এবং সুরক্ষা দেয়।”

টিএসসি এলাকার চা দোকানগুলোকেও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ধ্বংসের দায়ে অভিযুক্ত করেন সারজিস। তিনি বলেন, “টিএসসির মূল ক্যাফেটেরিয়াকে কার্যত অচল করে প্রায় ৩০টি চায়ের দোকান বসানো হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন বহিরাগত, বখাটে, মাদকসেবীরা এসে পরিবেশ নষ্ট করছে।”

সারজিস আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এগোয়, তখনই বাধা দেওয়া হয় এবং ক্ষমতার দাপট দেখানো হয়। দোয়েল চত্বর, মেট্রোরেল স্টেশন ও শহিদ মিনার এলাকার দোকানগুলোকেও তিনি একইভাবে দায়ী করেন।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমরা নিজেরা যখন ক্যাম্পাসে মাদক, অবৈধ দোকান আর বহিরাগতদের আমন্ত্রণ জানাই, তখন কোনো দুর্ঘটনার জন্য কেবল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করা কতটা যৌক্তিক?”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করে শিক্ষার্থীদের জন্য সুলভ ও নিরাপদ ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে হবে। ক্যাম্পাসে যান চলাচল ও বহিরাগত প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

সবশেষে সারজিস আলম বলেন, “সাম্যের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যেন আর কোনো সাম্যকে হারাতে না হয়।