ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ইতালির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে অবৈধ অভিবাসন রুখতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 23

ছবি সংগৃহীত

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক ও দ্বিপাক্ষিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে অভিবাসন, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ বৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করে এবং অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা রোধে ইতালির সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “কিছু আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশের মানুষকে প্রলোভনে ফেলে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথ দেখায়, যা মানবপাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”

প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, “নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও মানবিক অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।”

এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাতে যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ নিয়েও আলোচনা হয়। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, ইতালি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় অংশীদার দেশ। বর্তমানে অনেক বাংলাদেশি বৈধভাবে ইতালিতে বসবাস করছেন এবং প্রবাসী আয়ের বড় একটি অংশ এ দেশ থেকে আসে। তাই অভিবাসন ব্যবস্থাকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং মানবিক রাখার গুরুত্ব আরও বেড়েছে।

এই বৈঠক এবং উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সরকার অভিবাসন ও মানবপাচার বিষয়ক আন্তর্জান্তিক চ্যালেঞ্জগুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে এবং এক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইতালির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে অবৈধ অভিবাসন রুখতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:৫১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক ও দ্বিপাক্ষিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে অভিবাসন, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ বৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করে এবং অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা রোধে ইতালির সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “কিছু আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশের মানুষকে প্রলোভনে ফেলে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথ দেখায়, যা মানবপাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”

প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, “নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও মানবিক অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।”

এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাতে যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ নিয়েও আলোচনা হয়। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, ইতালি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় অংশীদার দেশ। বর্তমানে অনেক বাংলাদেশি বৈধভাবে ইতালিতে বসবাস করছেন এবং প্রবাসী আয়ের বড় একটি অংশ এ দেশ থেকে আসে। তাই অভিবাসন ব্যবস্থাকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং মানবিক রাখার গুরুত্ব আরও বেড়েছে।

এই বৈঠক এবং উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সরকার অভিবাসন ও মানবপাচার বিষয়ক আন্তর্জান্তিক চ্যালেঞ্জগুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে এবং এক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।