ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব রাশিয়ার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গতকাল রোববার ইসহাক দারের সঙ্গে এই আলোচনায় লাভরভ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ফলে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য মস্কো প্রস্তুত রয়েছে। যদি ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষ সমাধানে আগ্রহ দেখায়, তাহলে রাশিয়া মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত।

এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও কথা বলেন লাভরভ। সে সময়ও তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিরোধ নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কাশ্মীরের পেহেলগামে এক বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে নিজেদের অখণ্ড অংশ বলে দাবি করে আসছে। এই দাবি নিয়ে বহু বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ, সংঘর্ষ ও কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ, সহিংসতা ও বিদ্রোহও এই সমস্যার জটিলতা আরও বাড়িয়েছে।

রাশিয়া ঐতিহাসিকভাবে ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। সোভিয়েত আমল থেকেই মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার এমন মধ্যস্থতার প্রস্তাব বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার এই প্রস্তাব শুধু দ্বিপাক্ষিক শান্তিপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় তার ভূরাজনৈতিক প্রভাব আরও দৃঢ় করার কৌশল হিসেবেও দেখা যেতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ভারত ও পাকিস্তান এই প্রস্তাবের প্রতি কী প্রতিক্রিয়া জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব রাশিয়ার

আপডেট সময় ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গতকাল রোববার ইসহাক দারের সঙ্গে এই আলোচনায় লাভরভ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ফলে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য মস্কো প্রস্তুত রয়েছে। যদি ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষ সমাধানে আগ্রহ দেখায়, তাহলে রাশিয়া মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত।

এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও কথা বলেন লাভরভ। সে সময়ও তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিরোধ নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কাশ্মীরের পেহেলগামে এক বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে নিজেদের অখণ্ড অংশ বলে দাবি করে আসছে। এই দাবি নিয়ে বহু বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ, সংঘর্ষ ও কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ, সহিংসতা ও বিদ্রোহও এই সমস্যার জটিলতা আরও বাড়িয়েছে।

রাশিয়া ঐতিহাসিকভাবে ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। সোভিয়েত আমল থেকেই মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার এমন মধ্যস্থতার প্রস্তাব বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার এই প্রস্তাব শুধু দ্বিপাক্ষিক শান্তিপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় তার ভূরাজনৈতিক প্রভাব আরও দৃঢ় করার কৌশল হিসেবেও দেখা যেতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ভারত ও পাকিস্তান এই প্রস্তাবের প্রতি কী প্রতিক্রিয়া জানায়।