ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

শুল্ক না কমলে মার্কিন বাজারে কমবে ক্রিসমাসের রঙিন আমেজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 29

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া খেলনার সিংহভাগ প্রায় ৮০ শতাংশই চীনে তৈরি। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর শুল্কনীতি এবং চলমান ইউএস-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে এই খাত এখন বড় সংকটে। খেলনার উপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফ আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।

নতুন এক জরিপ বলছে, এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ছোট ও মাঝারি খেলনা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। জরিপে অংশ নেওয়া ৪১০টি কোম্পানির মধ্যে দেখা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয় ১০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে, তাদের মধ্যে ৮১ শতাংশই নতুন অর্ডার স্থগিত করেছে এবং ৬৪ শতাংশ পূর্বের অর্ডার বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

এছাড়া বড় কোম্পানিগুলো যাদের আয় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি তাদের মধ্যেও ৮৭ শতাংশ অর্ডার স্থগিত করেছে এবং ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে অর্ডার বাতিল করেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এ অবস্থায় খেলনা শিল্পে দেউলিয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। জরিপ অনুযায়ী, ৪৬ শতাংশ ছোট এবং ৪৫ শতাংশ বড় কোম্পানি অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। Toy Association-এর মতে, এই শুল্কনীতি অব্যাহত থাকলে আসন্ন ক্রিসমাসে যুক্তরাষ্ট্রে খেলনার ঘাটতি স্পষ্ট হবে এবং উপহার সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ খেলনা অনেকটাই বিলাসবস্তুতে পরিণত হবে।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখেছেন। তার মন্তব্য অনুযায়ী, “হয়তো এবার বাচ্চারা ৩০টা নয়, ২টা পুতুল পাবে। আর সেগুলো কয়েক ডলার বেশি দামে কিনতে হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, খেলনা শুধু একটি পণ্যের নাম নয়, এটি শিশুকালের স্মৃতি, পারিবারিক উষ্ণতা এবং উৎসবের আনন্দের সঙ্গে জড়িত। আর এই শিল্পে টানাপড়েন মানে শুধু ব্যবসা নয়, একটি প্রজন্মের হাসিও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যাওয়া।

চীন থেকে আমদানির ওপর শুল্ক হ্রাস না হলে, শুধু ব্যবসা নয় প্রভাব পড়বে মার্কিন নাগরিকদের উৎসব উদযাপনেও।

নিউজটি শেয়ার করুন

শুল্ক না কমলে মার্কিন বাজারে কমবে ক্রিসমাসের রঙিন আমেজ

আপডেট সময় ০৭:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া খেলনার সিংহভাগ প্রায় ৮০ শতাংশই চীনে তৈরি। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর শুল্কনীতি এবং চলমান ইউএস-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে এই খাত এখন বড় সংকটে। খেলনার উপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফ আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।

নতুন এক জরিপ বলছে, এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ছোট ও মাঝারি খেলনা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। জরিপে অংশ নেওয়া ৪১০টি কোম্পানির মধ্যে দেখা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয় ১০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে, তাদের মধ্যে ৮১ শতাংশই নতুন অর্ডার স্থগিত করেছে এবং ৬৪ শতাংশ পূর্বের অর্ডার বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

এছাড়া বড় কোম্পানিগুলো যাদের আয় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি তাদের মধ্যেও ৮৭ শতাংশ অর্ডার স্থগিত করেছে এবং ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে অর্ডার বাতিল করেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এ অবস্থায় খেলনা শিল্পে দেউলিয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। জরিপ অনুযায়ী, ৪৬ শতাংশ ছোট এবং ৪৫ শতাংশ বড় কোম্পানি অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। Toy Association-এর মতে, এই শুল্কনীতি অব্যাহত থাকলে আসন্ন ক্রিসমাসে যুক্তরাষ্ট্রে খেলনার ঘাটতি স্পষ্ট হবে এবং উপহার সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ খেলনা অনেকটাই বিলাসবস্তুতে পরিণত হবে।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখেছেন। তার মন্তব্য অনুযায়ী, “হয়তো এবার বাচ্চারা ৩০টা নয়, ২টা পুতুল পাবে। আর সেগুলো কয়েক ডলার বেশি দামে কিনতে হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, খেলনা শুধু একটি পণ্যের নাম নয়, এটি শিশুকালের স্মৃতি, পারিবারিক উষ্ণতা এবং উৎসবের আনন্দের সঙ্গে জড়িত। আর এই শিল্পে টানাপড়েন মানে শুধু ব্যবসা নয়, একটি প্রজন্মের হাসিও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যাওয়া।

চীন থেকে আমদানির ওপর শুল্ক হ্রাস না হলে, শুধু ব্যবসা নয় প্রভাব পড়বে মার্কিন নাগরিকদের উৎসব উদযাপনেও।