ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে আয়োজনের পরামর্শ জামায়াত আমিরের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসের মধ্যে আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা ও মহানগর আমিরদের সম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য দেন।

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও অংশীজনদের সহযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব হবে। আমরা মনে করি, ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগেই নির্বাচন আয়োজন উপযুক্ত সময় হতে পারে। আর যদি সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সময়মতো শেষ না হয়, তাহলে এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া উচিত। এরপর ঈদুল আজহা ও মৌসুমি দুর্যোগের কারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।”

সরকারের কিছু উপদেষ্টার আচরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “কখনও কখনও সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এমন মন্তব্য করে বসেন যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর। তাদের এসব বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত।”

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে জাতীয়ভাবে যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, “জনগণ একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। অর্থ পাচারের বিচার এবং পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের জন্য পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক দেশেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।”

এছাড়া নারী কমিশনের প্রতিবেদন নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি। বলেন, “কমিশনের কিছু সুপারিশ সরাসরি কোরআনের শিক্ষার পরিপন্থী। এসব বাস্তবায়িত হলে দেশের পারিবারিক কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়ে আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি এবং আশা করি সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

সম্মেলনের শেষদিকে ডা. শফিকুর রহমান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানান। বলেন, “যেসব দল নিজেদের কর্মীদের চাঁদাবাজি ও সামাজিক অপরাধ থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।”

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে আয়োজনের পরামর্শ জামায়াত আমিরের

আপডেট সময় ১১:০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসের মধ্যে আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা ও মহানগর আমিরদের সম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য দেন।

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও অংশীজনদের সহযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব হবে। আমরা মনে করি, ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগেই নির্বাচন আয়োজন উপযুক্ত সময় হতে পারে। আর যদি সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সময়মতো শেষ না হয়, তাহলে এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া উচিত। এরপর ঈদুল আজহা ও মৌসুমি দুর্যোগের কারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।”

সরকারের কিছু উপদেষ্টার আচরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “কখনও কখনও সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এমন মন্তব্য করে বসেন যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর। তাদের এসব বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত।”

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে জাতীয়ভাবে যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, “জনগণ একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। অর্থ পাচারের বিচার এবং পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের জন্য পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক দেশেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।”

এছাড়া নারী কমিশনের প্রতিবেদন নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি। বলেন, “কমিশনের কিছু সুপারিশ সরাসরি কোরআনের শিক্ষার পরিপন্থী। এসব বাস্তবায়িত হলে দেশের পারিবারিক কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়ে আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি এবং আশা করি সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

সম্মেলনের শেষদিকে ডা. শফিকুর রহমান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানান। বলেন, “যেসব দল নিজেদের কর্মীদের চাঁদাবাজি ও সামাজিক অপরাধ থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।”