ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯ সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও স্ত্রী খালাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 50

ছবি: সংগৃহীত

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমানউল্লাহ আমান ও তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমানকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ বুধবার প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আপিল বিভাগের রায়ে হাইকোর্টের পূর্ববর্তী দণ্ডাদেশ বহাল রাখা রায় বাতিল করা হয়েছে এবং দুজনকেই খালাস দেওয়া হয়েছে।

দুদকের দায়ের করা মামলায় আগের রায়ে আমানউল্লাহ আমান ও তাঁর স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আজ সেই আপিল গ্রহণ করে তাঁদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা বাতিল করা হয়।

বিচারপতির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আমানউল্লাহ আমানের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান, “এই রায়ের ফলে আমানউল্লাহ আমান এখন আইনগতভাবে কোনো বাধা ছাড়াই ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।”

২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এই মামলা করা হয়। অভিযোগ ছিল, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা গোপনের। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। হাইকোর্ট এক পর্যায়ে তাঁদের সাজা বহাল রাখলেও পরে আপিল বিভাগে রায় চ্যালেঞ্জ করেন তারা।

এমতাবস্থায় আপিল বিভাগের এই রায় বিএনপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে, সাবেরা আমান এই মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে সুবিচার পেয়েছেন তাঁরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আমানউল্লাহ আমান এখন দলীয় কর্মকাণ্ডে আরও সক্রিয় হবেন এবং সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের আইনি জটিলতার অবসান ঘটলো, যা আমান দম্পতির রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অধ্যায় সূচিত করল।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও স্ত্রী খালাস

আপডেট সময় ১০:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমানউল্লাহ আমান ও তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমানকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ বুধবার প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আপিল বিভাগের রায়ে হাইকোর্টের পূর্ববর্তী দণ্ডাদেশ বহাল রাখা রায় বাতিল করা হয়েছে এবং দুজনকেই খালাস দেওয়া হয়েছে।

দুদকের দায়ের করা মামলায় আগের রায়ে আমানউল্লাহ আমান ও তাঁর স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আজ সেই আপিল গ্রহণ করে তাঁদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা বাতিল করা হয়।

বিচারপতির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আমানউল্লাহ আমানের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান, “এই রায়ের ফলে আমানউল্লাহ আমান এখন আইনগতভাবে কোনো বাধা ছাড়াই ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।”

২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এই মামলা করা হয়। অভিযোগ ছিল, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা গোপনের। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। হাইকোর্ট এক পর্যায়ে তাঁদের সাজা বহাল রাখলেও পরে আপিল বিভাগে রায় চ্যালেঞ্জ করেন তারা।

এমতাবস্থায় আপিল বিভাগের এই রায় বিএনপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে, সাবেরা আমান এই মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে সুবিচার পেয়েছেন তাঁরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আমানউল্লাহ আমান এখন দলীয় কর্মকাণ্ডে আরও সক্রিয় হবেন এবং সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের আইনি জটিলতার অবসান ঘটলো, যা আমান দম্পতির রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অধ্যায় সূচিত করল।