ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীদের ভোট গ্রহণে রাজনৈতিক সমর্থন জরুরি: সিইসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া পুরো প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রবাসীদের ভোটগ্রহণের জন্য পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোটিং—এই তিনটি পদ্ধতির স্বচ্ছতা, ডিজাইন, নিরাপত্তা, মান এবং আইনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, “আমাদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সমর্থন অত্যন্ত জরুরি। আপনাদের সমর্থন ছাড়া প্রক্রিয়াটি সফল হবে না। এরপরও আমরা সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই।”

নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম জানান, এই বৈঠকে প্রবাসীদের জন্য একটি নিরাপদ ভোটিং ব্যবস্থার সম্ভাব্যতা, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা কাঠামোর বিষয়ে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে।

আলোচনায় যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তা হলো:

* প্রবাসী ভোটিংয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ

* সিস্টেম ডিজাইন ও কারিগরি সম্ভাব্যতা

* নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন

* আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা

* আইনি, লজিস্টিক ও বাস্তব চ্যালেঞ্জ এবং তার সমাধান

এর আগে গত ৮ এপ্রিল প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট এবং এমআইএসটি তিনটি ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে পৃথক তিনটি প্রতিবেদন জমা দেয়।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোট গ্রহণে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সম্ভাব্য সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা কী এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি গ্রহণের সময়সীমা, অর্থায়ন ও পাইলটিংয়ের বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন এসব সুপারিশ বিশ্লেষণ করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে চায় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রবাসীদের ভোট গ্রহণে রাজনৈতিক সমর্থন জরুরি: সিইসি

আপডেট সময় ১১:৪০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া পুরো প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রবাসীদের ভোটগ্রহণের জন্য পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোটিং—এই তিনটি পদ্ধতির স্বচ্ছতা, ডিজাইন, নিরাপত্তা, মান এবং আইনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, “আমাদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সমর্থন অত্যন্ত জরুরি। আপনাদের সমর্থন ছাড়া প্রক্রিয়াটি সফল হবে না। এরপরও আমরা সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই।”

নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম জানান, এই বৈঠকে প্রবাসীদের জন্য একটি নিরাপদ ভোটিং ব্যবস্থার সম্ভাব্যতা, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা কাঠামোর বিষয়ে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে।

আলোচনায় যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তা হলো:

* প্রবাসী ভোটিংয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ

* সিস্টেম ডিজাইন ও কারিগরি সম্ভাব্যতা

* নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন

* আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা

* আইনি, লজিস্টিক ও বাস্তব চ্যালেঞ্জ এবং তার সমাধান

এর আগে গত ৮ এপ্রিল প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট এবং এমআইএসটি তিনটি ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে পৃথক তিনটি প্রতিবেদন জমা দেয়।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোট গ্রহণে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সম্ভাব্য সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা কী এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি গ্রহণের সময়সীমা, অর্থায়ন ও পাইলটিংয়ের বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন এসব সুপারিশ বিশ্লেষণ করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে চায় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।