ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংকট রাজনীতিবিদদের সুযোগ এনে দেয়’: জ্বালানি উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 25

ছবি সংগৃহীত

 

দেশে যেকোনো সংকট বা সমস্যা দেখা দিলেই রাজনীতিবিদরা সুবিধা পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীতে ‘জ্বালানি সংকট থেকে উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘ক্রাইসিস হলেই রাজনীতিবিদদের সুবিধা হয়। ক্রাইসিস দেখিয়ে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল হয়েছে। অনেকে সংকটকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায়।’’

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এবার আমরা লোডশেডিং সীমিত রাখার চেষ্টা করবো। এজন্য অতিরিক্ত এলএনজি, পর্যাপ্ত কয়লা এবং অন্যান্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।’’

তিনি জানান, গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবছর সহনীয় থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফাওজুল কবির বলেন, ‘‘অনেকে সংবাদ করছে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। বাস্তবে ২৪ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয়েছে মাত্র ১৩৯ মেগাওয়াট। প্রকৃতপক্ষে, বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকলে লোডশেডিং হয়। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে পড়ে। সেগুলো মেরামতে সময় লাগে, তবে এটিকে লোডশেডিং বলা ঠিক নয়।’’

তিনি সংবাদকর্মীদের সহানুভূতিশীল হয়ে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, চলমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে নানা উদ্বেগের মধ্যে সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সেই আশ্বাসই প্রতিফলিত হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সংকট রাজনীতিবিদদের সুযোগ এনে দেয়’: জ্বালানি উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

দেশে যেকোনো সংকট বা সমস্যা দেখা দিলেই রাজনীতিবিদরা সুবিধা পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীতে ‘জ্বালানি সংকট থেকে উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘ক্রাইসিস হলেই রাজনীতিবিদদের সুবিধা হয়। ক্রাইসিস দেখিয়ে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল হয়েছে। অনেকে সংকটকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায়।’’

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এবার আমরা লোডশেডিং সীমিত রাখার চেষ্টা করবো। এজন্য অতিরিক্ত এলএনজি, পর্যাপ্ত কয়লা এবং অন্যান্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।’’

তিনি জানান, গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবছর সহনীয় থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফাওজুল কবির বলেন, ‘‘অনেকে সংবাদ করছে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। বাস্তবে ২৪ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয়েছে মাত্র ১৩৯ মেগাওয়াট। প্রকৃতপক্ষে, বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকলে লোডশেডিং হয়। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে পড়ে। সেগুলো মেরামতে সময় লাগে, তবে এটিকে লোডশেডিং বলা ঠিক নয়।’’

তিনি সংবাদকর্মীদের সহানুভূতিশীল হয়ে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, চলমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে নানা উদ্বেগের মধ্যে সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সেই আশ্বাসই প্রতিফলিত হয়েছে।