ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে: মির্জা ফখরুল আবারও মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ি দিয়োগো জোতার শ্রদ্ধায় ২০ নম্বর জার্সি চিরতরে অবসরে নিল লিভারপুল মিডফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে: আইন উপদেষ্টা ক্যারিবীয় সাগরের অভিমুখী নৌকাডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ অন্তত ২০ ইউক্রেনে আবারও মার্কিন সামরিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের ভারতের গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ একজন টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যা: নিহত বেড়ে ১২০, নিখোঁজ ১৬১; পরিদর্শনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক চুক্তি জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়া সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতি ৩ মাসের জন্য স্থগিত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 37

ছবি: সংগৃহীত

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন নির্দেশনা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

গত ৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন এই অফিস আদেশ জারি করেন। নির্দেশনায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামি অনেক বেশি। তাই এসব মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আগে উপযুক্ত প্রমাণসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ও প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার না করার অনুরোধও জানানো হয় নির্দেশনায়।

এই অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন ২০ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। পরদিন আদালত রিটটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং আজ এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। সঙ্গে ছিলেন রিটকারী মো. জসিম উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট শুধু নির্দেশনা স্থগিত করেননি, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোরও নির্দেশ দেন। কেন ৯ এপ্রিল জারি করা অফিস আদেশটি আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এই রুলে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান ও এসবি প্রধানসহ মোট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আদালতের স্থগিতাদেশের ফলে আপাতত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার সংক্রান্ত ডিএমপির ওই নির্দেশনার কার্যকারিতা বন্ধ থাকবে। এখন আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকেই নজর সবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতি ৩ মাসের জন্য স্থগিত

আপডেট সময় ০১:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন নির্দেশনা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

গত ৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন এই অফিস আদেশ জারি করেন। নির্দেশনায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামি অনেক বেশি। তাই এসব মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আগে উপযুক্ত প্রমাণসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ও প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার না করার অনুরোধও জানানো হয় নির্দেশনায়।

এই অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন ২০ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। পরদিন আদালত রিটটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং আজ এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। সঙ্গে ছিলেন রিটকারী মো. জসিম উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট শুধু নির্দেশনা স্থগিত করেননি, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোরও নির্দেশ দেন। কেন ৯ এপ্রিল জারি করা অফিস আদেশটি আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এই রুলে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান ও এসবি প্রধানসহ মোট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আদালতের স্থগিতাদেশের ফলে আপাতত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার সংক্রান্ত ডিএমপির ওই নির্দেশনার কার্যকারিতা বন্ধ থাকবে। এখন আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকেই নজর সবার।