শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ১১:৪২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / 21
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় ক্যাম্পাসে পৌঁছেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার। তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাঁদের দাবির পেছনের কারণ জানার চেষ্টা করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ সময় ‘উপাচার্য নিপাত যাক’ ধ্বনিতে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, শুরুতে ছয় দফা দাবি থাকলেও উপাচার্যের পদত্যাগই এখন একমাত্র লক্ষ্য। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ফোনে খোঁজ নিয়েছিলেন উপদেষ্টা আবরার। বর্তমানে অনশনের তৃতীয় দিনে পৌঁছেছে এই কর্মসূচি। ইতিমধ্যে ২৬ শিক্ষার্থী অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, যাঁদের মধ্যে কয়েকজন শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাঁদের সংকল্প, উপাচার্য অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পিছু হটবেন না।
এদিকে, পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যালোচনার জন্য আজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল কুয়েট সফর করবেন।
জানা গেছে, ১৫ এপ্রিল থেকে আন্দোলনকারীরা ছেলেদের ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে দখলে নেন এবং গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রীরাও একইভাবে তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন। আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায়, যেখানে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ১৪ এপ্রিল রাতে সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এবং ২ মে হল খুলে দেওয়ার ও ৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা আসে।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা ১৫ এপ্রিল থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় হয়ে পড়েন এবং অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে সেই দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেমেছেন।