ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

আগাম বোরো ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 67

ছবি সংগৃহীত

 

 

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাঠে এখন সোনালি ধানের সমারোহ। আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। মাঠজুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন, আবার কেউ গলা ছেড়ে গাইছেন ধান কাটার ঐতিহ্যবাহী গান।

তীব্র রোদ আর গরম উপেক্ষা করেই কৃষকেরা দ্রুতগতিতে ধান কাটছেন। যদিও পুরোপুরি কাটা-মাড়াইয়ের মৌসুম আসতে আরও ১০-১৫ দিন সময় লাগবে, তবুও আগাম জাতের ধান পাকতে শুরু করায় অনেকেই আগেভাগেই মাঠে নেমে পড়েছেন।

চাষিরা জানান, আগাম জাতের ধান তুলনায় দ্রুত পাকে এবং বাজারে তুলতে পারায় ভালো দাম মেলে। ফলে অধিকাংশ কৃষক এ বছর মিনিকেট, ব্রি-ধান ৯০, বিনা-৭, বিনা-১৭ ও কাটারিভোগ জাতের চাষ করেছেন। গড়ে প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ ধান পাচ্ছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর নন্দীগ্রামে ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৮৫২ হেক্টর জমিতে। বাস্তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে, যার মধ্যে ১৮ হাজার ৫৫৮ হেক্টরে আগাম জাতের ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন।

কৈডালা গ্রামের কৃষক ও সাবেক শিক্ষক মোবারক আলী বলেন, “আমি ও আমার ভাই মিলে ২৫ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, আর বাজারে এখন প্রতি মণে দাম পাচ্ছি ১৩০০-১৩৫০ টাকা।”

বাজারে আগাম ধানের চাহিদা থাকায় লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা। ঘামে ভেজা মুখে তাই সবার একটাই কথা—এবার ফসল ভালো, দামটা যেন ঠিক থাকে।

তবে আশঙ্কার কথাও জানাচ্ছেন তাঁরা। গত দুই দিনের বৈরী আবহাওয়ায় ধান কাটতে সমস্যা হচ্ছে। হঠাৎ বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।

সিধইল গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, “মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমরা চিন্তায় আছি ধান নষ্ট হয়ে যাবে না তো!”

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার গাজীউল হক বলেন, “এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে এবং কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন। তবে চলমান বৈরী আবহাওয়া ধান কাটার সময়সূচিতে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে, তাই দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আগাম বোরো ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ০৭:৩২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাঠে এখন সোনালি ধানের সমারোহ। আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। মাঠজুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন, আবার কেউ গলা ছেড়ে গাইছেন ধান কাটার ঐতিহ্যবাহী গান।

তীব্র রোদ আর গরম উপেক্ষা করেই কৃষকেরা দ্রুতগতিতে ধান কাটছেন। যদিও পুরোপুরি কাটা-মাড়াইয়ের মৌসুম আসতে আরও ১০-১৫ দিন সময় লাগবে, তবুও আগাম জাতের ধান পাকতে শুরু করায় অনেকেই আগেভাগেই মাঠে নেমে পড়েছেন।

চাষিরা জানান, আগাম জাতের ধান তুলনায় দ্রুত পাকে এবং বাজারে তুলতে পারায় ভালো দাম মেলে। ফলে অধিকাংশ কৃষক এ বছর মিনিকেট, ব্রি-ধান ৯০, বিনা-৭, বিনা-১৭ ও কাটারিভোগ জাতের চাষ করেছেন। গড়ে প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ ধান পাচ্ছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর নন্দীগ্রামে ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৮৫২ হেক্টর জমিতে। বাস্তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে, যার মধ্যে ১৮ হাজার ৫৫৮ হেক্টরে আগাম জাতের ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন।

কৈডালা গ্রামের কৃষক ও সাবেক শিক্ষক মোবারক আলী বলেন, “আমি ও আমার ভাই মিলে ২৫ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, আর বাজারে এখন প্রতি মণে দাম পাচ্ছি ১৩০০-১৩৫০ টাকা।”

বাজারে আগাম ধানের চাহিদা থাকায় লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা। ঘামে ভেজা মুখে তাই সবার একটাই কথা—এবার ফসল ভালো, দামটা যেন ঠিক থাকে।

তবে আশঙ্কার কথাও জানাচ্ছেন তাঁরা। গত দুই দিনের বৈরী আবহাওয়ায় ধান কাটতে সমস্যা হচ্ছে। হঠাৎ বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।

সিধইল গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, “মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমরা চিন্তায় আছি ধান নষ্ট হয়ে যাবে না তো!”

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার গাজীউল হক বলেন, “এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে এবং কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন। তবে চলমান বৈরী আবহাওয়া ধান কাটার সময়সূচিতে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে, তাই দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”