ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১০ জুভেন্তাসকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৪টি দেশ থেকে ৫ লাখ শ্রমিক নেবে ইতালি টেকনাফে বিজিবির পৃথক অভিযানে ৯০ হাজার ইয়াবা ও ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আটক ৩ ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ, রেকর্ড তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত জনজীবন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৬ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১০৯, মানবিক ত্রাণ কেন্দ্রেও গুলি টিকাটুলিতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বে প্রধান নেতা ছিলেন তারেক রহমান: মোর্শেদ হাসান খান ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নিয়েছে, ঘোষণা ট্রাম্পের

সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল বাস্তবায়নে অগ্রগতি: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড সংশোধন সংক্রান্ত প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

শনিবার সকালে মাগুরা জেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সহকারী শিক্ষকরা আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন—তাদের ১২তম গ্রেডে নিয়োগের পর চার বছর সফলভাবে চাকরি করলে ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হোক এবং প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেড নিশ্চিত করা হোক। মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবকে যৌক্তিক মনে করছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে সরকারের নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি বোঝানো ও বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়া।”

তিনি আরও জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চলমান মামলাগুলোর কারণে পদায়নে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে এ জট দ্রুতই কেটে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। মামলাজনিত সমস্যার সমাধান হলে শিগগিরই অনেক শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।

সভায় উপদেষ্টা আরও বলেন, “সারা দেশে বড় পরিসরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নতুন বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। এটি অনুমোদন পেলেই পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”

মাগুরার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ড. শফিকুল ইসলামসহ জেলা শিক্ষা অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

সভায় বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে শিক্ষকদের মর্যাদা, প্রশিক্ষণ ও বেতন কাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এজন্য মাঠপর্যায়ের শিক্ষকদের মতামত ও দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন কাঠামো ও দ্রুত পদোন্নতির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছিল। মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের আন্দোলনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল বাস্তবায়নে অগ্রগতি: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড সংশোধন সংক্রান্ত প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

শনিবার সকালে মাগুরা জেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সহকারী শিক্ষকরা আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন—তাদের ১২তম গ্রেডে নিয়োগের পর চার বছর সফলভাবে চাকরি করলে ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হোক এবং প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেড নিশ্চিত করা হোক। মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবকে যৌক্তিক মনে করছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে সরকারের নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি বোঝানো ও বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়া।”

তিনি আরও জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চলমান মামলাগুলোর কারণে পদায়নে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে এ জট দ্রুতই কেটে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। মামলাজনিত সমস্যার সমাধান হলে শিগগিরই অনেক শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।

সভায় উপদেষ্টা আরও বলেন, “সারা দেশে বড় পরিসরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নতুন বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। এটি অনুমোদন পেলেই পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”

মাগুরার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ড. শফিকুল ইসলামসহ জেলা শিক্ষা অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

সভায় বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে শিক্ষকদের মর্যাদা, প্রশিক্ষণ ও বেতন কাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এজন্য মাঠপর্যায়ের শিক্ষকদের মতামত ও দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন কাঠামো ও দ্রুত পদোন্নতির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছিল। মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের আন্দোলনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।