ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দক্ষিণ ককেশাসে বিদেশি বাহিনী অগ্রহণযোগ্য: ইরান অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলে গাফিলতি, দুদকের উপপরিচালক পলাশ সাময়িক বরখাস্ত সন্ত্রাসবাদ ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা ১০ দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অগ্রগতি: জেলেনস্কি রাজবাড়ীতে হাসপাতালে স্বামীকে প্রকাশ্যে মারধর, ভিডিও ভাইরাল তৃপ্তি দিমরির খোলামেলা স্বীকারোক্তি: অভিনেত্রী হওয়ার জন্য মরতেও প্রস্তুত ছিলেন ব্রাজিল দলে ফিরছেন নেইমার, বিশ্রামে ভিনিসিয়ুস বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস আজ ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান প্রণয়নে কমিটি গঠন

গা/জা/র এক-তৃতীয়াংশ দখলে নিয়েছে ই*সরা*ইল, মানচিত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের আড়ালে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫২:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

গাজায় চলমান হামলার আড়ালে এক ভয়াবহ পরিবর্তন ঘটছে মানচিত্র বদলে দিচ্ছে দখলদার ইসরাইল। যুদ্ধের নামে চলছে পরিকল্পিত জমি দখল, যেখানে গাজার বড় একটি অংশ এখন সরাসরি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

ইসরাইল এখন পর্যন্ত গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় সামরিকভাবে ঢুকে পড়েছে এবং এসব অঞ্চলে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ ঘোষণার নামে সাধারণ মানুষকে জোর করে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করছে। ঘর হারানো মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র গত তিন সপ্তাহেই নতুন করে গৃহহীন হয়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ।

সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো, গাজার ভেতরে ইতোমধ্যেই চারটি সামরিক করিডর স্থাপন করেছে ইসরাইল। এসব করিডরের কারণে গাজা ভৌগোলিকভাবে ভাগ হয়ে পড়ছে একাধিক খণ্ডে। এই করিডরগুলোর মধ্যে ‘মোরাগ করিডর’ সবচেয়ে বেশি আলোচিত, যা রাফাহ শহরকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে আশপাশের অঞ্চল থেকে। এতে করে দক্ষিণ গাজার বিপুল সংখ্যক মানুষ আবার বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে।

অন্যদিকে, ‘নেতসারিম’ ও ‘কিসুফিম’ করিডরের মাধ্যমে গাজার উত্তরাংশকে কেটে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন গাজা আর একটি একক ভূখণ্ড নেই বরং বিচ্ছিন্ন, বিভক্ত এক ভাঙা ভূখণ্ডে পরিণত হচ্ছে এই উপত্যকা।

ইসরাইলি মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, “এই অঞ্চলগুলোর বড় একটি অংশ এখন আমাদের নিরাপত্তা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছে।”

এখন গাজার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বসবাস নিষেধ। এর অর্থ, ধাপে ধাপে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের চিরতরে সরিয়ে ফেলার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।

এই অবস্থাকে শুধুমাত্র যুদ্ধ নয়, বরং জাতিগত নির্মূল ও দখলদারির এক নতুন রূপ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং কার্যকর প্রতিরোধের অভাবে গাজা হয়ে উঠছে একটি মানচিত্রহীন, অধিকারহীন, নিঃস্ব জনগোষ্ঠীর নাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/র এক-তৃতীয়াংশ দখলে নিয়েছে ই*সরা*ইল, মানচিত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের আড়ালে

আপডেট সময় ০৯:৫২:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় চলমান হামলার আড়ালে এক ভয়াবহ পরিবর্তন ঘটছে মানচিত্র বদলে দিচ্ছে দখলদার ইসরাইল। যুদ্ধের নামে চলছে পরিকল্পিত জমি দখল, যেখানে গাজার বড় একটি অংশ এখন সরাসরি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

ইসরাইল এখন পর্যন্ত গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় সামরিকভাবে ঢুকে পড়েছে এবং এসব অঞ্চলে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ ঘোষণার নামে সাধারণ মানুষকে জোর করে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করছে। ঘর হারানো মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র গত তিন সপ্তাহেই নতুন করে গৃহহীন হয়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ।

সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো, গাজার ভেতরে ইতোমধ্যেই চারটি সামরিক করিডর স্থাপন করেছে ইসরাইল। এসব করিডরের কারণে গাজা ভৌগোলিকভাবে ভাগ হয়ে পড়ছে একাধিক খণ্ডে। এই করিডরগুলোর মধ্যে ‘মোরাগ করিডর’ সবচেয়ে বেশি আলোচিত, যা রাফাহ শহরকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে আশপাশের অঞ্চল থেকে। এতে করে দক্ষিণ গাজার বিপুল সংখ্যক মানুষ আবার বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে।

অন্যদিকে, ‘নেতসারিম’ ও ‘কিসুফিম’ করিডরের মাধ্যমে গাজার উত্তরাংশকে কেটে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন গাজা আর একটি একক ভূখণ্ড নেই বরং বিচ্ছিন্ন, বিভক্ত এক ভাঙা ভূখণ্ডে পরিণত হচ্ছে এই উপত্যকা।

ইসরাইলি মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, “এই অঞ্চলগুলোর বড় একটি অংশ এখন আমাদের নিরাপত্তা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছে।”

এখন গাজার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বসবাস নিষেধ। এর অর্থ, ধাপে ধাপে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের চিরতরে সরিয়ে ফেলার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।

এই অবস্থাকে শুধুমাত্র যুদ্ধ নয়, বরং জাতিগত নির্মূল ও দখলদারির এক নতুন রূপ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং কার্যকর প্রতিরোধের অভাবে গাজা হয়ে উঠছে একটি মানচিত্রহীন, অধিকারহীন, নিঃস্ব জনগোষ্ঠীর নাম।