০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে মৃত্যু ছাড়াল ৩ হাজার ৬০০, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও মিলছে মরদেহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 111

ছবি সংগৃহীত

 

ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০-এ। আহত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। এখনও চলছে উদ্ধার তৎপরতা, বিশেষ করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মান্দালয় অঞ্চলে ধ্বংসস্তূপের নিচে মিলছে একের পর এক মরদেহ। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘর্ষের কারণে, যেখানে জাতিসংঘ জানিয়েছে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

গত ২৮ মার্চ দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। ভূমিকম্পের পরপরই একাধিক আফটারশক দেশটির জনমানসে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মান্দালয়ে, যেখানে বহু ভবন ধসে পড়ে, রাস্তা-বাড়ি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, এখনও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষজনকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দুর্যোগের মধ্যে আরও বিপর্যয় হয়ে দেখা দিয়েছে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়। এতে বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

চীনের উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থাপন করেছে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। মান্দালয়ের দুটি স্টেডিয়ামে গাদাগাদি করে বাস করছেন হাজারো মানুষ। তৃতীয় দফায় চীন থেকে এসেছে মানবিক সহায়তা। চীনা বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে প্রায় ৯০০টি ভবনের কাঠামো পর্যবেক্ষণ করেছেন, যাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো যায়।

তবে সবচেয়ে বড় বাধা দেশজুড়ে চলমান গৃহযুদ্ধ। জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে বহু দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছানো যাচ্ছে না জরুরি সহায়তা। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, সহিংসতা অব্যাহত থাকলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম আরও ব্যাহত হবে।

গৃহযুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সংকট এই ত্রিমুখী দুর্যোগে বিপর্যস্ত মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক সহায়তাই এখন তাদের একমাত্র ভরসা। মানবিক সংস্থাগুলোর মতে, সহিংসতা বন্ধ না হলে এই সংকট থেকে মিয়ানমারের উত্তরণ সম্ভব নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে মৃত্যু ছাড়াল ৩ হাজার ৬০০, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও মিলছে মরদেহ

আপডেট সময় ০১:১২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০-এ। আহত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। এখনও চলছে উদ্ধার তৎপরতা, বিশেষ করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মান্দালয় অঞ্চলে ধ্বংসস্তূপের নিচে মিলছে একের পর এক মরদেহ। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘর্ষের কারণে, যেখানে জাতিসংঘ জানিয়েছে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

গত ২৮ মার্চ দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। ভূমিকম্পের পরপরই একাধিক আফটারশক দেশটির জনমানসে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মান্দালয়ে, যেখানে বহু ভবন ধসে পড়ে, রাস্তা-বাড়ি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, এখনও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষজনকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দুর্যোগের মধ্যে আরও বিপর্যয় হয়ে দেখা দিয়েছে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়। এতে বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

চীনের উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থাপন করেছে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। মান্দালয়ের দুটি স্টেডিয়ামে গাদাগাদি করে বাস করছেন হাজারো মানুষ। তৃতীয় দফায় চীন থেকে এসেছে মানবিক সহায়তা। চীনা বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে প্রায় ৯০০টি ভবনের কাঠামো পর্যবেক্ষণ করেছেন, যাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো যায়।

তবে সবচেয়ে বড় বাধা দেশজুড়ে চলমান গৃহযুদ্ধ। জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে বহু দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছানো যাচ্ছে না জরুরি সহায়তা। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, সহিংসতা অব্যাহত থাকলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম আরও ব্যাহত হবে।

গৃহযুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সংকট এই ত্রিমুখী দুর্যোগে বিপর্যস্ত মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক সহায়তাই এখন তাদের একমাত্র ভরসা। মানবিক সংস্থাগুলোর মতে, সহিংসতা বন্ধ না হলে এই সংকট থেকে মিয়ানমারের উত্তরণ সম্ভব নয়।