ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্তে ৫ মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষার্থী নিহত জনসমর্থন থাকলে কেউ পালায় না: এটিএম আজাহারুল ইসলাম এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: ২৪২ জন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাবনা সাতক্ষীরায় জুয়ার আসরে পুলিশের হানা, গ্রেপ্তার ৯

হাতিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 13

ছবি: সংগৃহীত

 

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়ার পথে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের বলীর পুলের পশ্চিম পাশে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন তমরদ্দি ইউনিয়নের সানা উল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, নুর ইসলাম, খোকন, দিদার, এনায়েত হোসেন, জাহাজমারা ইউনিয়নের মো. হানিফ, বুড়িরচর ইউনিয়নের রুবেল, চরকিং ইউনিয়নের নোমান, সাগরসহ আরও অনেকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির ব্যানারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমের অনুসারীদের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে আসার সময় বলীর পুল এলাকায় উপস্থিত হন সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের অনুসারী কাইউম, খলিল, রুবেল সর্দার ও এনায়েতসহ আরও কয়েকজন।

এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

হামলায় আহত তমরদ্দি ইউনিয়নের তাঁতি দলের সভাপতি মো. শাহেদ বলেন, “আমরা মাহবুবুর রহমান শামীমের ঈদ পুনর্মিলনীতে যোগ দিতে খিরিদিয়া ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দিই। পথিমধ্যে আমাদের মিছিলে পেছন থেকে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের ৩৫ জনের মতো আহত হন।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগির কবির জানান, “কিছু বহিরাগত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য আমাদের শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো হামলা হয়নি।”

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েছি। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।”

এদিকে রাত পৌনে এগারোটার দিকে আহতদের দেখতে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। তিনি চিকিৎসাধীনদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাতিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩৫

আপডেট সময় ১০:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়ার পথে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের বলীর পুলের পশ্চিম পাশে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন তমরদ্দি ইউনিয়নের সানা উল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, নুর ইসলাম, খোকন, দিদার, এনায়েত হোসেন, জাহাজমারা ইউনিয়নের মো. হানিফ, বুড়িরচর ইউনিয়নের রুবেল, চরকিং ইউনিয়নের নোমান, সাগরসহ আরও অনেকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির ব্যানারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমের অনুসারীদের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে আসার সময় বলীর পুল এলাকায় উপস্থিত হন সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের অনুসারী কাইউম, খলিল, রুবেল সর্দার ও এনায়েতসহ আরও কয়েকজন।

এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

হামলায় আহত তমরদ্দি ইউনিয়নের তাঁতি দলের সভাপতি মো. শাহেদ বলেন, “আমরা মাহবুবুর রহমান শামীমের ঈদ পুনর্মিলনীতে যোগ দিতে খিরিদিয়া ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দিই। পথিমধ্যে আমাদের মিছিলে পেছন থেকে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের ৩৫ জনের মতো আহত হন।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগির কবির জানান, “কিছু বহিরাগত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য আমাদের শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো হামলা হয়নি।”

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েছি। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।”

এদিকে রাত পৌনে এগারোটার দিকে আহতদের দেখতে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। তিনি চিকিৎসাধীনদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।