ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অচল সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুর্বিষহ জীবন নতুন নোট আসছে বাজারে, সমাধান মিলছে ছেঁড়া টাকার ঝামেলায় শাসনের পথে র‍্যাবকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা না দিলে জেল: শ্রম উপদেষ্টা ভারতে মাছ রপ্তানি স্থগিত রেখেছে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা ‘বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোনো পাসপোর্ট নেই’: উপদেষ্টা খলিলুর রহমান চেয়ারম্যান অপসারণসহ ৪ দফা দাবি, এনবিআরের বিরুদ্ধে অসহযোগের ঘোষণা শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা :মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটুর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে প্রেরণ কোরবানির চামড়ার মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত, নির্ধারণ হবে বৃহস্পতিবার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে আগ্রহী বিটিএমএ, স্থায়ী শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে দেশের বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। একইসঙ্গে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কটন কাউন্সিলের (এনসিসিএ) সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ এনসিসিএর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী গ্যারি অ্যাডামসের কাছে এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানান। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর এরিক গ্লেনকে। বিটিএমএর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন, যা ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি এটি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখেন, যদিও এই সময়ের মধ্যে সব দেশের ওপর গড়ে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হয়। বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে গড়ে ২৬ শতাংশ শুল্ক বসে। বিটিএমএ মনে করছে, এই ৯০ দিন কৌশলগত আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, বিটিএমএ দেশের ১ হাজার ৮৫৬টি বস্ত্রকলের প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে সুতা ও কাপড় উৎপাদন, ডাইং, প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিটিএমএ সভাপতি জানান, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৭ কোটি ডলারের তুলা আমদানি করেছে, যা মোট সুতা আমদানির ১২ শতাংশ। তিনি বিশ্বাস করেন, এই আমদানি চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

সুতা আমদানির পরিমাণ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুতা সংরক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় গুদাম স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য, আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা।

বিটিএমএ সভাপতি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। শিগগিরই বিটিএমএর একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবে। এই সফরে মার্কিন সরকার ও ব্যবসায়িক মহলের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হবে, যেখানে শুল্ক প্রত্যাহারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে আগ্রহী বিটিএমএ, স্থায়ী শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট সময় ০৪:২৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে দেশের বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। একইসঙ্গে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কটন কাউন্সিলের (এনসিসিএ) সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ এনসিসিএর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী গ্যারি অ্যাডামসের কাছে এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানান। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর এরিক গ্লেনকে। বিটিএমএর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন, যা ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি এটি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখেন, যদিও এই সময়ের মধ্যে সব দেশের ওপর গড়ে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হয়। বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে গড়ে ২৬ শতাংশ শুল্ক বসে। বিটিএমএ মনে করছে, এই ৯০ দিন কৌশলগত আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, বিটিএমএ দেশের ১ হাজার ৮৫৬টি বস্ত্রকলের প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে সুতা ও কাপড় উৎপাদন, ডাইং, প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিটিএমএ সভাপতি জানান, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৭ কোটি ডলারের তুলা আমদানি করেছে, যা মোট সুতা আমদানির ১২ শতাংশ। তিনি বিশ্বাস করেন, এই আমদানি চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

সুতা আমদানির পরিমাণ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুতা সংরক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় গুদাম স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য, আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা।

বিটিএমএ সভাপতি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। শিগগিরই বিটিএমএর একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবে। এই সফরে মার্কিন সরকার ও ব্যবসায়িক মহলের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হবে, যেখানে শুল্ক প্রত্যাহারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।