০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ দেখা যাবে বিরল ‘ব্লাড মুন’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আকাশে দেখা যাবে এক অনন্য জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা—পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, যা বিশ্বজুড়ে পরিচিত ‘ব্লাড মুন’ নামে। বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এ বিরল দৃশ্য খালি চোখেই উপভোগ করা যাবে।

চন্দ্রগ্রহণ ঘটে তখনই, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে। এসময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে দেয় এবং চাঁদ রক্তিম আভা ধারণ করে। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যের নীল আলো ছড়িয়ে দেয়, আর লাল আলো প্রতিফলিত হয়ে চাঁদের দিকে পৌঁছায়—ফলেই চাঁদ গাঢ় লালচে রঙে ঝলমল করে ওঠে।

এবারের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ এশিয়ার অনেক দেশেই স্পষ্ট দেখা যাবে। পাশাপাশি আফ্রিকার পূর্বাঞ্চল ও অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাংশ থেকেও এটি দৃশ্যমান হবে। তবে ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু এলাকায় কেবল আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে, আর আমেরিকার আকাশে এ দৃশ্য দেখা যাবে না।

বাংলাদেশে সময়সূচি:

রাত ১০টা ৩০ মিনিটে উপচ্ছায়া পর্যায় শুরু হবে।

পরদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়ায় থাকবে—এটাই হবে রক্তিম চাঁদের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত।

গ্রহণ শেষ হবে রাত ১২টা ৫২ মিনিটে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কোনো বিশেষ যন্ত্র ছাড়াই পরিষ্কার আকাশে এ দৃশ্য সরাসরি দেখা সম্ভব। তবে দূরবীন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে অভিজ্ঞতাটি আরও অসাধারণ হবে।

এ বছর এটি দ্বিতীয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এর আগে মার্চ মাসেও একবার ব্লাড মুন দেখা গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের আগস্টে ইউরোপের কয়েকটি দেশে (স্পেন ও আইসল্যান্ডসহ) একটি বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হবে, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য আরেকটি অনন্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ দেখা যাবে বিরল ‘ব্লাড মুন’

আপডেট সময় ১০:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আকাশে দেখা যাবে এক অনন্য জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা—পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, যা বিশ্বজুড়ে পরিচিত ‘ব্লাড মুন’ নামে। বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এ বিরল দৃশ্য খালি চোখেই উপভোগ করা যাবে।

চন্দ্রগ্রহণ ঘটে তখনই, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে। এসময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে দেয় এবং চাঁদ রক্তিম আভা ধারণ করে। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যের নীল আলো ছড়িয়ে দেয়, আর লাল আলো প্রতিফলিত হয়ে চাঁদের দিকে পৌঁছায়—ফলেই চাঁদ গাঢ় লালচে রঙে ঝলমল করে ওঠে।

এবারের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ এশিয়ার অনেক দেশেই স্পষ্ট দেখা যাবে। পাশাপাশি আফ্রিকার পূর্বাঞ্চল ও অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাংশ থেকেও এটি দৃশ্যমান হবে। তবে ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু এলাকায় কেবল আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে, আর আমেরিকার আকাশে এ দৃশ্য দেখা যাবে না।

বাংলাদেশে সময়সূচি:

রাত ১০টা ৩০ মিনিটে উপচ্ছায়া পর্যায় শুরু হবে।

পরদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়ায় থাকবে—এটাই হবে রক্তিম চাঁদের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত।

গ্রহণ শেষ হবে রাত ১২টা ৫২ মিনিটে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কোনো বিশেষ যন্ত্র ছাড়াই পরিষ্কার আকাশে এ দৃশ্য সরাসরি দেখা সম্ভব। তবে দূরবীন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে অভিজ্ঞতাটি আরও অসাধারণ হবে।

এ বছর এটি দ্বিতীয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এর আগে মার্চ মাসেও একবার ব্লাড মুন দেখা গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের আগস্টে ইউরোপের কয়েকটি দেশে (স্পেন ও আইসল্যান্ডসহ) একটি বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হবে, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য আরেকটি অনন্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।