ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন বহু আগেই ফিকে হয়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির। এবার লক্ষ্য শুধুই শীর্ষ চারে থেকে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত করা। কিন্তু পেপ গার্দিওলার দল সে পথকেও কাঁটায় ভরা বানিয়ে ফেলেছে। পরিস্থিতি এমন যে, ১৪ বছর পর ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা জেগেছে সিটিজেনদের। 

তবে গার্দিওলা হাল ছাড়ছেন না। তাঁর বিশ্বাস, সামনে থাকা নয়টি ম্যাচই ফাইনালের মতো খেলতে পারলে সিটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ব্রাইটনের সঙ্গে ২–২ গোলে ড্র করার পর শীর্ষ চারে থাকা আরও কঠিন হয়ে গেছে সিটির জন্য। ২৯ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৪৮, অবস্থান পাঁচ নম্বরে। ঠিক পেছনেই ২৮ ম্যাচ খেলে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে নিউক্যাসল। অর্থাৎ, নিউক্যাসল এক ম্যাচ কম খেলে মাত্র এক পয়েন্ট পেছনে রয়েছে। তাদের পরের ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে সিটির ভাগ্যও।

এখন গার্দিওলার দলকে শুধু নিজেদের পারফরম্যান্সের দিকেই নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর দিকেও যাতে তারা পয়েন্ট হারায়। গার্দিওলার মতে, এখন প্রতিটি ম্যাচই ফাইনালের সমান গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমি সবসময় আত্মবিশ্বাসী। কঠিন সময় আগেও এসেছে, তবে আমরা উপায় বের করেছি। এবারও তাই করতে হবে। সামনে আমাদের নয়টি ম্যাচ বাকি, প্রতিটিকেই ফাইনাল ধরে খেলতে হবে।’

সিটির এই নয় ম্যাচের মধ্যে নিজেদের মাঠে লেস্টার সিটি, ক্রিস্টাল প্যালেস, অ্যাস্টন ভিলা, উলভারহ্যাম্পটন ও বোর্নমাউথের বিপক্ষে লড়াই করতে হবে। এর মধ্যে অ্যাস্টন ভিলা ও বোর্নমাউথ যথাক্রমে লিগের আট ও নয় নম্বরে থাকলেও তাদের পয়েন্ট সিটির খুব বেশি পিছিয়ে নেই ৪৫ ও ৪৪। তাই এই ম্যাচগুলো সহজ হবে না।

অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ফুলহাম, এভারটন ও সাউদাম্পটনের বিপক্ষে। বিশেষ করে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচটি সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং।

‘৯ ফাইনাল’-এর প্রথমটি আগামী ২ এপ্রিল লেস্টার সিটির বিপক্ষে। তবে তার আগে ৩০ মার্চ এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বোর্নমাউথের মুখোমুখি হবে গার্দিওলার দল।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিটির সামনে চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে উঠছে। এখন দেখার বিষয়, গার্দিওলার দল শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে কি না।