টাইব্রেকারে দোন্নারুম্মার চমৎকারে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি , চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে লিভারপুলের বিদায়

- আপডেট সময় ১০:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
- / 41
লিভারপুলের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ, ইতিহাস ছিল পাশে, আর গোলপোস্টের নিচে ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক আলিসন বেকার। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে সব আশা গুঁড়িয়ে দিলেন পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
অ্যানফিল্ডের উত্তেজনাকর রাতে টাইব্রেকারে দুইটি শট ঠেকিয়ে লিভারপুলের স্বপ্নভঙ্গ করেন ইতালিয়ান গোলকিপার। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের গোলশূন্য লড়াইয়ের পর পিএসজি টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিশ্চিত করল কোয়ার্টার ফাইনাল। আর প্রথম নকআউট পর্বেই বিদায় নিতে হলো লিভারপুলকে। এই মৌসুমে ৩৬ দলের লিগ পর্বে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করেও নকআউটে এসে ব্যর্থ হল আর্নে স্লটের দল। বিপরীতে প্লে-অফ খেলে আসা পিএসজি দুই লেগেই দাপট দেখিয়েছে।
প্রথম লেগে খুব একটা ভালো না খেলেও ভাগ্যের সহায়তায় ১-০ গোলে প্যারিস থেকে ফিরেছিল লিভারপুল। তবে আজ অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয় লেগের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। মাত্র ১২ মিনিটেই উসমান দেম্বেলের গোলে এগিয়ে যায় ফরাসি ক্লাবটি, সমতায় ফেরায় দুই লেগের স্কোরলাইন (১-১)। এরপর দুই দলই একের পর এক আক্রমণ শানালেও কেউ গোলের দেখা পায়নি। লিভারপুলের আলিসন একাই ২১০ মিনিটের লড়াইয়ে ১৬টি সেভ করেও দলকে রক্ষা করতে পারেননি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে শেষ হাসি হাসে পিএসজি।
পিএসজির হয়ে ভিতিনিয়া, গনসালো রামোস, দেম্বেলে ও দুয়ে সফলভাবে শট নেন, একটিও আটকে রাখতে পারেননি আলিসন। বিপরীতে, দোন্নারুম্মা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শট ঠেকিয়ে দেন দারউইন নুনেজ ও কার্টিস জোনসের। চতুর্থ শটেও গোল পাওয়া মাত্রই নিশ্চিত হয়ে যায় পিএসজির জয়। অ্যানফিল্ড স্তব্ধ, আর পিএসজি শিবির আনন্দে মাতোয়ারা।
এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউটে ছয় ম্যাচের তিনটিতে প্রথম লেগে হেরে দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের রাউন্ডে উঠল পিএসজি। এর আগে ২০২০ সালে ডর্টমুন্ড ও ২০২৪ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে এমন নজির গড়েছিল তারা। অন্যদিকে, প্রথম লেগ অ্যাওয়েতে জিতে ফিরেও ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ হেরে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেওয়ার অভিজ্ঞতা লিভারপুলের এবারই প্রথম।
পিএসজির সঙ্গে আরও তিনটি দল নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। বায়ার্ন মিউনিখ লেভারকুসেনকে ৫-০ ব্যবধানে, ইন্টার মিলান ফেইনুর্ডকে ৪-১ ব্যবধানে ও বার্সেলোনা বেনফিকাকে একই ব্যবধানে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে শেষ আটে।