ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল আজ: তৃতীয় সৌভাগ্যের খোঁজে নিউজিল্যান্ড, ভারতের শাপমোচনের লড়াই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্ব ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড যেন এক শাপগ্রস্ত নায়ক। প্রায়ই তারা ছুঁয়ে দেখে শিরোপার দোরগোড়া, কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে যেন বিধিবাম! তবুও, তাদের ইতিহাসে এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যেখানে তারা সৌভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছে আর সেই গল্পগুলোই আবার আলোচনায়, কারণ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত!

সংবাদ সম্মেলনে ‘সৌভাগ্য’ শব্দটি শুনেই মিচেল স্যান্টনারের চোখে জ্বলজ্বলে প্রত্যাশা। কিউই অধিনায়ক হেসে বললেন, “আশা করি, এবারও ভাগ্য আমাদের পাশে থাকবে।” বাস্তবতা বলছে, গত এক দশকের আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে নিউজিল্যান্ডের ভাগ্য যতটা নির্মম, ভারতের জন্যও কি কম বেদনার?

ভারত ২০১৩ সালে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল। এরপর থেকে একের পর এক প্রতিযোগিতায় তারা ফাইনালে পৌঁছে হতাশ হয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৩ সালে নিজেদের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের স্মৃতি এখনও দগদগে। শুভমান গিল সে ব্যথা ভুলে যেতে চান এবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেই, “গতবার যা পারিনি, এবার তা করতে চাই।”

অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ‘ফাইনালে ভারত’ মানেই যেন জয়ের বার্তা! ২০০০ সালে নাইরোবিতে আইসিসি নকআউট ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে প্রথম বড় শিরোপা জিতেছিল তারা। এরপর ২০২১ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও সেই ভারতের বিপক্ষে জয়। এবারও কি সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে?

ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের ব্যাটিং গভীরতা। গিল, কোহলি, রোহিতের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি মিডল অর্ডারে লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজার উপস্থিতি দলকে নির্ভার করে রেখেছে।

অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ভরসা তরুণ রাচিন রবীন্দ্রের দুর্দান্ত ফর্ম, অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসন ও স্পিন আক্রমণে স্যান্টনারের কার্যকারিতা। সেই সঙ্গে গ্লেন ফিলিপসের বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং অসাধারণ ফিল্ডিংও বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা।

তবে ভারতের বড় সুবিধা দুবাইয়ের কন্ডিশনে অভ্যস্ততা। নিউজিল্যান্ড গোটা টুর্নামেন্টে সাত হাজার কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করেছে, যেখানে ভারত পুরো সময় দুবাইতেই খেলেছে। যদিও লাহোরের সেমিফাইনালে ৩৬২ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড দেখিয়েছে, ক্লান্তি তাদের দমাতে পারেনি।

তবে ফাইনাল মানেই আলাদা চাপ। এমন ম্যাচে যারা ধৈর্য ধরে খেলবে, ভাগ্যও তাদের পক্ষে থাকবে এটাই মনে করেন স্যান্টনার। ভারত জিতলে শাপমোচনের আনন্দ, নিউজিল্যান্ড জিতলে ‘তৃতীয় সৌভাগ্য’ কে হাসবে শেষ হাসি, সেটাই দেখার অপেক্ষা!

 

নিউজটি শেয়ার করুন

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল আজ: তৃতীয় সৌভাগ্যের খোঁজে নিউজিল্যান্ড, ভারতের শাপমোচনের লড়াই

আপডেট সময় ১১:৩৮:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

বিশ্ব ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড যেন এক শাপগ্রস্ত নায়ক। প্রায়ই তারা ছুঁয়ে দেখে শিরোপার দোরগোড়া, কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে যেন বিধিবাম! তবুও, তাদের ইতিহাসে এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যেখানে তারা সৌভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছে আর সেই গল্পগুলোই আবার আলোচনায়, কারণ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত!

সংবাদ সম্মেলনে ‘সৌভাগ্য’ শব্দটি শুনেই মিচেল স্যান্টনারের চোখে জ্বলজ্বলে প্রত্যাশা। কিউই অধিনায়ক হেসে বললেন, “আশা করি, এবারও ভাগ্য আমাদের পাশে থাকবে।” বাস্তবতা বলছে, গত এক দশকের আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে নিউজিল্যান্ডের ভাগ্য যতটা নির্মম, ভারতের জন্যও কি কম বেদনার?

ভারত ২০১৩ সালে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল। এরপর থেকে একের পর এক প্রতিযোগিতায় তারা ফাইনালে পৌঁছে হতাশ হয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৩ সালে নিজেদের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের স্মৃতি এখনও দগদগে। শুভমান গিল সে ব্যথা ভুলে যেতে চান এবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেই, “গতবার যা পারিনি, এবার তা করতে চাই।”

অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ‘ফাইনালে ভারত’ মানেই যেন জয়ের বার্তা! ২০০০ সালে নাইরোবিতে আইসিসি নকআউট ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে প্রথম বড় শিরোপা জিতেছিল তারা। এরপর ২০২১ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও সেই ভারতের বিপক্ষে জয়। এবারও কি সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে?

ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের ব্যাটিং গভীরতা। গিল, কোহলি, রোহিতের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি মিডল অর্ডারে লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজার উপস্থিতি দলকে নির্ভার করে রেখেছে।

অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ভরসা তরুণ রাচিন রবীন্দ্রের দুর্দান্ত ফর্ম, অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসন ও স্পিন আক্রমণে স্যান্টনারের কার্যকারিতা। সেই সঙ্গে গ্লেন ফিলিপসের বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং অসাধারণ ফিল্ডিংও বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা।

তবে ভারতের বড় সুবিধা দুবাইয়ের কন্ডিশনে অভ্যস্ততা। নিউজিল্যান্ড গোটা টুর্নামেন্টে সাত হাজার কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করেছে, যেখানে ভারত পুরো সময় দুবাইতেই খেলেছে। যদিও লাহোরের সেমিফাইনালে ৩৬২ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড দেখিয়েছে, ক্লান্তি তাদের দমাতে পারেনি।

তবে ফাইনাল মানেই আলাদা চাপ। এমন ম্যাচে যারা ধৈর্য ধরে খেলবে, ভাগ্যও তাদের পক্ষে থাকবে এটাই মনে করেন স্যান্টনার। ভারত জিতলে শাপমোচনের আনন্দ, নিউজিল্যান্ড জিতলে ‘তৃতীয় সৌভাগ্য’ কে হাসবে শেষ হাসি, সেটাই দেখার অপেক্ষা!