চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: কোহলির ব্যাটিং জাদুতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি সাউথ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড
চেজ মাস্টার বিরাট কোহলি আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা রান তাড়াকারী। আজকের ম্যাচে, কোহলির ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ভারতকে এনে দিয়েছে সহজ জয়। যদিও ম্যাচ শেষ করতে পারেননি তিনি, তবুও তার কৃতিত্বে ভারত নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল।
আজ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারতকে। যদিও ভারতের শুরুটা কিছুটা খারাপ ছিল, ৪৩ রানে দুটি উইকেট হারানোর পরও কোহলির দৃঢ় ইনিংস দলের জয়ের পথ প্রশস্ত করে দেয়। শ্রেয়াস আইয়ারের সাথে ৯১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তিনি ভারতকে সংকটমুক্ত করেন। এরপর অক্ষর প্যাটেল ও লোকেশ রাহুলের সঙ্গে দুটি ছোটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে ভারতকে জয়ী হওয়ার জায়গায় নিয়ে আসেন।
যখন ভারত ৪০ রানে পিছিয়ে ছিল, তখন কোহলি আউট হয়ে যান ৮৪ রানে। ৯৮ বল খেলে তিনি ৫টি চারে ইনিংস সাজিয়েছিলেন। তবে লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া ম্যাচ শেষ করে দেন, হার্দিকের ২৮ রান ও রাহুলের অপরাজিত ৪২ রানের সুবাদে ভারত শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জয়লাভ করে।
এর আগে, অস্ট্রেলিয়া স্টিভেন স্মিথ (৭৩) ও অ্যালেক্স ক্যারি (৬১) এর সহায়তায় ২৬৪ রান সংগ্রহ করেছিল। তবে আইসিসির নকআউট পর্বে এই প্রথম এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে হারল অস্ট্রেলিয়া, আর ভারত সেই ইতিহাসে নিজেদের নাম লিখিয়ে ফাইনালে চলে গেল।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড, দুটি দলই পরিচিত ‘চোকার্স’ হিসেবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় আসরগুলোতে নানাভাবে ভেঙে পড়া দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ লাহোরে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এই দুই দল, যারা বড় মঞ্চে চাপের মুখে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা, যাদের সেমিফাইনালেই বারবার হতাশা, ১৯৯২ বিশ্বকাপের বৃষ্টির পর থেকে অনেকবার চাপে পড়ে বড় সুযোগ হাতছাড়া করেছে। নিউজিল্যান্ডও ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপা পায়নি। তবে আজ, তারা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে একই সমস্যার মুখোমুখি স্নায়ুচাপে ভেঙে না পড়া। সেমিফাইনালে নিজেদের অবস্থান রক্ষা করতে, আজ তাদের উপর বড় চাপ। পাকিস্তান বাদ পড়লেও, এই দুই দলের জন্য লাহোর এখন এক নিরপেক্ষ যুদ্ধক্ষেত্র।