রিয়ালকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজি, ইতিহাসের হাতছানি

- আপডেট সময় ১০:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
- / 2
ক্লাব বিশ্বকাপে আগে থেকেই ছিল উত্তেজনার আঁচ, তবে সেই উত্তেজনার ঝড় যে রিয়াল মাদ্রিদের ওপরই বয়ে যাবে, তা ভাবেননি অনেকেই। সেমিফাইনালে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) গোছানো ও গতিময় আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। বুধবার রাতের ম্যাচে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
পিএসজির হয়ে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইজ করেন জোড়া গোল। একটি করে গোল করেন উসমান দেম্বেলে ও গঞ্জালো রামোস। দেম্বেলে শুরু থেকেই ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ম্যাচের ৮ মিনিটেই রাউল আসেন্সিওর ভুলে বল কেড়ে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। গোলরক্ষক কোর্তোয়ার সঙ্গে ধাক্কা খেলে বল যায় ফাঁকা জালে, যেখানে ফাবিয়ান রুইজ সহজেই গোল করেন।
মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আবারও ভুল করে বসে রিয়াল। এবার রুডিগার চাপে পড়ে বল হারালে সুযোগ নেন দেম্বেলে। দুর্দান্ত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ম্যাচে তখনো ১০ মিনিটও পেরোয়নি, তাতেই নেমে আসে নিস্তব্ধতা। শুরুতে গ্যালারিতে সাদা জার্সির আধিপত্যে মনে হচ্ছিল রিয়ালের হোম ম্যাচ কিন্তু মাঠের চিত্র ছিল ঠিক উল্টো।
পিএসজি এরপর দাপট দেখিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয়। ২৪তম মিনিটে আবারও গোল করেন ফাবিয়ান রুইজ। কাভারাস্কেইয়া সুযোগ মিস না করলে প্রথমার্ধেই ব্যবধান হতে পারত আরও বড়। প্রথমার্ধে বল দখলে প্রায় ৮০ শতাংশ সময় নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গোছালো খেললেও রিয়াল তেমন কোনো স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৪৭তম মিনিটে দিজিরে দুয়ে গোল করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। পরে বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় মদ্রিচ, কার্ভাহালসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়, তবে ফলাফল বদলায়নি।
৮৮তম মিনিটে ম্যাচের শেষ পেরেক ঠুকে দেন গঞ্জালো রামোস। কাছ থেকে নেওয়া জোরালো শটে বল পাঠান জালে। গোলের পর তিনি স্মরণ করেন সদ্য সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জাতীয় দলের সতীর্থ দিয়োগো জোতাকে।
এই ম্যাচই ছিল লুকা মদ্রিচ ও লুকাস ভাসকেসের রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অন্যদিকে, সাবেক ক্লাব রিয়ালের বিপক্ষে খেললেও অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকেও দারুণভাবে রুখে দেন নুনো মেন্ডেস।
রোববার (১৩ জুলাই) ফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব চেলসি। এই ম্যাচে জয় পেলে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাবে ফরাসি জায়ান্টরা।