বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি: আমিনুল ইসলাম

- আপডেট সময় ১১:১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
- / 6
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার (২৮ জুন) সকালে রংপুর ক্রিকেট গার্ডেন মাঠে টেস্ট মর্যাদার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ক্রিকেট কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
তিনি বলেন, “আমরা চাই উপজেলা পর্যায় থেকে একজন ক্রিকেটারও বলুক, আই এম পার্ট অব বাংলাদেশ ক্রিকেট। সে লক্ষ্যেই আমরা সারা দেশে কাজ করছি।”
ঢাকাকেন্দ্রিক ক্রিকেটের ধারা ভাঙতে চায় বিসিবি, জানিয়ে সভাপতি বলেন, “আমি চাই না চট্টগ্রাম বা রংপুরের টিম ঢাকায় বসে গড়ে তোলা হোক। রংপুরে থাকবে নিজস্ব বিসিবি অফিস, থাকবে সিলেকশন কমিটি, যারা এজ-গ্রুপ ভিত্তিক সিলেকশন করবে। এখানকার ছেলে-মেয়েরা লড়াই করবে দেশের সেরা হওয়ার জন্য এবং জাতীয় দলে জায়গা করে নেবে।”
ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরও ছড়িয়ে দিতে বিসিবির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই রংপুরের খেলা দেখতে রাজশাহী থেকে মানুষ বাস ভরে চলে আসুক।”
বাংলাদেশকে টেস্ট, ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বর দল হিসেবে দেখতে চান বুলবুল। তিনি বলেন, “এটি অসম্ভব কিছু নয়, সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সেই স্বপ্ন পূরণে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনের বর্তমান অবস্থায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই মাঠে আমি নিজেই ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছি। তবে এখনো অনেক উন্নয়নের সুযোগ আছে। এখানকার প্রতিভা কাজে লাগাতে অবকাঠামো উন্নয়ন আমাদের অগ্রাধিকারে থাকবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “রংপুরে ক্রিকেট সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় অনেক খেলোয়াড় হারিয়ে গেছে, তাদের স্বপ্নও ভেঙে গেছে। আমরা সঠিক কোচিং, ট্রেনিং এবং ক্রিকেট শিক্ষা নিশ্চিত করে ভালো কোচ তৈরি করবো, যারা ভবিষ্যতের তারকা গড়ে তুলবে।”
রংপুরে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রয়োজন উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি বলেন, “এটি কেবল বোর্ডের সিদ্ধান্তে হবে না, সরকারেরও সিদ্ধান্ত লাগবে। তবে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম এখানে অবশ্যই দরকার।”
অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা আবিদ হোসাইন সামির সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সাজেদুল ইসলামসহ অনেকেই। পরে শিশুদের ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমে কার্নিভালের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
উৎসবের অংশ হিসেবে ছিল ক্রিকেট ম্যাচ, বোলারদের গতি পরীক্ষা, মেন্টরিং, হিট দ্যা স্ট্যাম্প, আর্ট প্রতিযোগিতা এবং কমেন্ট্রি দক্ষতা প্রদর্শনসহ নানা কার্যক্রম।