বিসিবিতে কাজ করার মতো পরিবেশই ছিল না গত কয়েক মাসে: ফাহিমের বিস্ফোরক মন্তব্য

- আপডেট সময় ০৫:০৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / 7
নানা নাটকীয়তা শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে বসেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাবেক জাতীয় অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে অপসারণের পরপরই নতুন দায়িত্ব নেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল (৩০ মে) সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত হওয়া ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম তুলে ধরেছেন আগের নেতৃত্বের নানা সীমাবদ্ধতা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অনুরোধে পদত্যাগ করলে হয়তো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতেন না ফারুক। কিন্তু তিনি পদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানোর পরই শুরু হয় তার পতনের সূচনা। একদিনেই দুই বড় ধাক্কা খান তিনি বিসিবির আট পরিচালক তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন, একইসঙ্গে বিপিএলের অনিয়ম তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এতে ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল (এনএসসি) তার পরিচালক পদ বাতিল করে দেয়, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেয়।
পরদিন কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়ন পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এরপর এনএসসি তাকে পরিচালক হিসেবে মনোনীত করে। পরবর্তীতে বিসিবির অধিকাংশ পরিচালকের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
ফারুকের ৯ মাসের নেতৃত্বকাল ছিল নানা বিতর্কে ঘেরা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট বোর্ডেও। আর্থিক দুর্নীতি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অযোগ্যতা এবং অন্যান্য পরিচালকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল তুঙ্গে। আট পরিচালকের অনাস্থা প্রস্তাব ছিল তারই প্রতিফলন।
বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করা সিনিয়র সহ-সভাপতি ফাহিম গণমাধ্যমে বলেন, “ফারুকের সময়ে বড় ঘাটতিটা ছিল সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায়। সঠিক পরিকল্পনা ও সম্মিলিত চিন্তা থাকলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু একটা সময় সবকিছু থেমে গিয়েছিল।”
ফাহিম আরও বলেন, “আমাদের উন্নতির প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আরও ভালো উইকেট, মাঠ, আধুনিক কোচিং, পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, কার্যকর প্রোগ্রাম দরকার। এবং সবার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে কোচ, খেলোয়াড়, এবং যিনি প্রোগ্রাম চালাচ্ছেন, সবার জন্য। আজকের পারফরম্যান্সে কেউই খুশি না, কিন্তু এই দায় আমাদেরই নিতে হবে।”
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থতার পর ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই দুর্দশাকে অনেকে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় বলছেন। তবে নতুন নেতৃত্ব আশার বার্তা দিচ্ছে সমন্বিত প্রচেষ্টায় ঘুরে দাঁড়ানোর পথ এখনো খোলা।