ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০ জন জাপান সফরে ছয়টি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান: রেলপথ উন্নয়নে বড় সহায়তা শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি: ইরানের ঘোষণা বৃষ্টির বাধা মানছে না কোরবানির হাট, জমে উঠেছে পশু কেনাবেচা দেশে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে রেকর্ড গতি, ১০ মাসেই শোধ ৩৫০ কোটি ডলার দক্ষিণের ৭ নদীতে পানি বিপদসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল গণতন্ত্র পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

পাকিস্তানে হারে শুরু লিটনদের, সিরিজে পিছিয়ে বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 12

ছবি: সংগৃহীত

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করার পর পাকিস্তানে ঘুরে দাঁড়ানোর বড় সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু লাহোরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও হার দিয়ে শুরু করল লিটন দাসের দল। ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ, ফলে ৩৭ রানের জয় তুলে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান।

জয়ের জন্য যেমন আক্রমণাত্মক শুরু দরকার ছিল, সেটাই করেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ বলেই স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকান তানজিদ হাসান, ওভারের শেষ বলে চার মারেন পারভেজ হোসেন। প্রথম ওভারেই আসে ১১ রান। কিন্তু এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন পারভেজ, হাসান আলীর স্লোয়ারে পরাস্ত হয়ে ফিরে যান দ্রুতই।

তানজিদ অবশ্য রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। আবরার আহমেদকে দুটি ছক্কার পর হাসান আলীকে দুটি চার হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে তিনিও বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান ৩১ রানে। ৪ ওভারে ৩৭ রান তুললেও পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৭ রানে।

এরপর লিটন দাস ও তাওহিদ হূদয় ইনিংস গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও রান তোলার গতি ছিল ধীর। ১১তম ওভারে কিছুটা চড়াও হন অধিনায়ক লিটন। তবে পরের ওভারেই ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে ফেরত যান তিনিও। ৬৩ রানের জুটি ভাঙার পর হূদয়ও দায়িত্ব নিতে পারেননি, ২২ বলে করেন মাত্র ১৭ রান।

পরের ওভারে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে যান শামীম হোসেন। এরপর রিশাদ হোসেন মাত্র ৪ রানে আউট হলে বাংলাদেশের জয়ের আশাও ফিকে হয়ে যায়। জাকের আলী কিছুটা লড়াই করেন ৩৬ রানের ইনিংসে, কিন্তু তা জয় এনে দেওয়ার মতো যথেষ্ট ছিল না। ৪ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬৪ রানে।

পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন হাসান আলী। ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্সে মাত্র ৩০ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সায়েম আইয়ুব ও ফখর জামান। তবে এরপর পাল্টা আক্রমণে নামে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। অধিনায়ক সালমান আগা করেন ৫৬ রান, অন্যদিকে শেষদিকে শাদাব খানের ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস দলকে নিয়ে যায় ২০০ রানের গণ্ডি পার করে।

বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। কিন্তু বোলিং ইউনিটের সম্মিলিত চেষ্টার পরও পাকিস্তানের ৭ উইকেটে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ থামানো যায়নি।

এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশের সামনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে হারে শুরু লিটনদের, সিরিজে পিছিয়ে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৪১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করার পর পাকিস্তানে ঘুরে দাঁড়ানোর বড় সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু লাহোরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও হার দিয়ে শুরু করল লিটন দাসের দল। ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ, ফলে ৩৭ রানের জয় তুলে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান।

জয়ের জন্য যেমন আক্রমণাত্মক শুরু দরকার ছিল, সেটাই করেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ বলেই স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকান তানজিদ হাসান, ওভারের শেষ বলে চার মারেন পারভেজ হোসেন। প্রথম ওভারেই আসে ১১ রান। কিন্তু এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন পারভেজ, হাসান আলীর স্লোয়ারে পরাস্ত হয়ে ফিরে যান দ্রুতই।

তানজিদ অবশ্য রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। আবরার আহমেদকে দুটি ছক্কার পর হাসান আলীকে দুটি চার হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে তিনিও বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান ৩১ রানে। ৪ ওভারে ৩৭ রান তুললেও পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৭ রানে।

এরপর লিটন দাস ও তাওহিদ হূদয় ইনিংস গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও রান তোলার গতি ছিল ধীর। ১১তম ওভারে কিছুটা চড়াও হন অধিনায়ক লিটন। তবে পরের ওভারেই ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে ফেরত যান তিনিও। ৬৩ রানের জুটি ভাঙার পর হূদয়ও দায়িত্ব নিতে পারেননি, ২২ বলে করেন মাত্র ১৭ রান।

পরের ওভারে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে যান শামীম হোসেন। এরপর রিশাদ হোসেন মাত্র ৪ রানে আউট হলে বাংলাদেশের জয়ের আশাও ফিকে হয়ে যায়। জাকের আলী কিছুটা লড়াই করেন ৩৬ রানের ইনিংসে, কিন্তু তা জয় এনে দেওয়ার মতো যথেষ্ট ছিল না। ৪ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬৪ রানে।

পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন হাসান আলী। ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্সে মাত্র ৩০ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সায়েম আইয়ুব ও ফখর জামান। তবে এরপর পাল্টা আক্রমণে নামে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। অধিনায়ক সালমান আগা করেন ৫৬ রান, অন্যদিকে শেষদিকে শাদাব খানের ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস দলকে নিয়ে যায় ২০০ রানের গণ্ডি পার করে।

বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। কিন্তু বোলিং ইউনিটের সম্মিলিত চেষ্টার পরও পাকিস্তানের ৭ উইকেটে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ থামানো যায়নি।

এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশের সামনে।