ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রেমাদাসায় তাসকিন–তানজিমের বোলিং তোপে ২৪৪ রানে থামল লঙ্কানরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ৮.৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, উল্লেখযোগ্য পোশাক খাত জুলাই সনদ দলীয় হলে সার্বজনীনতা হারাবে: আন্দালিভ রহমান পার্থ পাকিস্তানে সরকারি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমিশনারসহ নিহত ৫, আহত ১১ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পতন ঘটলেও ফ্যাসিস্টিক ব্যবস্থা এখনও বিদ্যমান: নাহিদ ইসলাম গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপির ত্যাগ বেশি: তারেক রহমান চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক নিহত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রাকের ধাক্কা, গাড়ি কেটে হেলপারকে উদ্ধার উত্তরসূরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো বহিরাগত হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়: দালাই লামা চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর দক্ষতার ওপর আস্থা রয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

জুনে সড়কে ঝরলো ৬৯৬ প্রাণ, প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু ২৩ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

গত জুন মাসে দেশের সড়কপথে ৬৮৯টি দুর্ঘটনায় ৬৯৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৬৭ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৩ জনের জীবন শেষ হয়েছে সড়কে।

বুধবার (২ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যভাণ্ডারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ২২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে দুর্ঘটনাজনিত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

নিহতদের মধ্যে ১০৪ জন নারী এবং ১০৯ জন শিশু। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, নিহত ২২৮ জন যা মোট মৃত্যুর ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ১২০ জন পথচারী ও ১০৬ জন চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে, ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ ছিল মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১৮ শতাংশ ঘটেছে পথচারীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায়।

সময়ভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সকালবেলায় (২৬ দশমিক ২৬ শতাংশ) এবং বিকেলের দিকে (২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ) দুর্ঘটনার হার বেশি।

সড়ক অনুযায়ী দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে এবং ৩৫ দশমিক ২৬ শতাংশ আঞ্চলিক সড়কে। বিভাগের হিসেবে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ২০২টি দুর্ঘটনায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বেপরোয়া গতির পাশাপাশি চালকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও মানসিক স্থিতিশীলতার ঘাটতি এবং পথচারীদের অসচেতনতা এই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার মূল কারণ।

সংগঠনটি মনে করে, কেবল আইন প্রয়োগে সমাধান আসবে না, প্রয়োজন ট্রাফিক ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার। সেইসঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুনে সড়কে ঝরলো ৬৯৬ প্রাণ, প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু ২৩ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

আপডেট সময় ০৩:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

গত জুন মাসে দেশের সড়কপথে ৬৮৯টি দুর্ঘটনায় ৬৯৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৬৭ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৩ জনের জীবন শেষ হয়েছে সড়কে।

বুধবার (২ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যভাণ্ডারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ২২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে দুর্ঘটনাজনিত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

নিহতদের মধ্যে ১০৪ জন নারী এবং ১০৯ জন শিশু। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, নিহত ২২৮ জন যা মোট মৃত্যুর ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ১২০ জন পথচারী ও ১০৬ জন চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে, ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ ছিল মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১৮ শতাংশ ঘটেছে পথচারীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায়।

সময়ভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সকালবেলায় (২৬ দশমিক ২৬ শতাংশ) এবং বিকেলের দিকে (২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ) দুর্ঘটনার হার বেশি।

সড়ক অনুযায়ী দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে এবং ৩৫ দশমিক ২৬ শতাংশ আঞ্চলিক সড়কে। বিভাগের হিসেবে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ২০২টি দুর্ঘটনায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বেপরোয়া গতির পাশাপাশি চালকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও মানসিক স্থিতিশীলতার ঘাটতি এবং পথচারীদের অসচেতনতা এই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার মূল কারণ।

সংগঠনটি মনে করে, কেবল আইন প্রয়োগে সমাধান আসবে না, প্রয়োজন ট্রাফিক ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার। সেইসঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।