০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করল নাসার নীরব সুপারসনিক জেট X-59

সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ইদ/রোজা হয় কেন?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 112

ছবি সংগৃহীত

 

প্রত্যেক বছর পবিত্র রমাজান মাসের শুরুতে কিংবা শেষে
এই দেশের মুসলিম কমিউনিটির সকলেই পশ্চিম আকাশে তাকিয়ে থাকে,রেডিও-টেলিভিশনে কান পেতে রাখে এই বুঝি খবর এলো এবারের রোজা শুরুর কিংবা ইদের ঘোষণা। অনেকই খেয়াল রাখেন সৌদি আরবের দিকে তারা কখন রোজা শুরু করল কিংবা ইদ ২৯ রমাজানের পর না ৩০ রমাজানের পর উদযাপন করছেন। আমাদের সমাজে একটা প্রতিষ্ঠিত মিথ হলো সৌদি আরবের একদিন পর আমাদের দেশে রোজা শুরু কিংবা ইদ উদযাপন হবে। অনেকেই দেখি এই নিয়ে ট্রল করার চেষ্টা করে এবং নানাভাবে উল্টোপাল্টা তথ্য দেয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জানার চেষ্টা করি কেন সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে রোজা শুরু কিংবা ইদ উদযাপন করা হয়।

বিশাল মহাবিশ্বের অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হলো আমাদের সৌরজগত। এখানে সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহগুলো ঘূর্ণায়মান আর গ্রহকে কেন্দ্র করে উপগ্রহগুলো ঘূর্ণায়মান। আহ্নিকগতি ও বার্ষিকগতি নামক দুইটা শব্দের সাথে সকলেই পরিচিত। আরো সহজ করে বললে পৃথিবীর দুইটা ঘোরার গতি আছে, একটা হল দৈনিক আর একটা হল বাৎসরিক। গোলাকার পৃথিবী-গোলকটা তার নিজের (উত্তর-দক্ষিন দিক বরাবর) অক্ষের উপরে (প্রায়) প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় একবার করে ঘোরে আগের অবস্থায় ফিরে আসে, এটাই হলো আহ্নিক গতি। আবার পৃথিবী ৩৬৫ দিনে সূর্যের চারদিকে ঘুরে তার আগের অবস্থানে ফিরে আসে, এটা হলো বার্ষিকগতি। এই সময় পৃথিবী সূর্যকে পৃথিবীর সাপেক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রদক্ষিণ করে (বিপ্রতীপ গতি বা ঘড়ির কাঁটার বিপরীত-Anti Clock wise)। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘূর্ণায়মান থাকায় পূর্বদিকে আগে সূর্যোদয় হয় অর্থাৎ পূর্বদিকের মানুষ আগে সূর্যকে দেখতে পায়। পৃথিবীর মানুষ সূর্যকে কেন্দ্র করে যে ক্যালেন্ডার বা দিনপুঞ্জি করেছে তা হলো সোলার বা সৌর দিনপঞ্জি। এই দিন পুঞ্জির ৩৬৫ দিন বা ১ বছর কে ১২ মাসে বিভক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চাঁদ হলো পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। এটি প্রতি ২৭.৩২১ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রম আবার ঘটে। পৃথিবী-চাঁদ-সূর্য তন্ত্রের জ্যামিতিতে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের কারণেই চন্দ্র কলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে থাকে। চাঁদ পৃথিবীকে যে অক্ষরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে, সে অক্ষরেখায় চাঁদ একদিন বা ২৪ ঘণ্টায় ১৩°কোণ অতিক্রম করে। সুতরাং পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১ সেকেন্ড। এই জন্য আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের একই পৃষ্ঠ দেখে থাকি। পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের শতকরা প্রায় ৫৯ ভাগ দেখতে পেয়ে থাকি। চাঁদকে কেন্দ্র করে যে ক্যালেন্ডার বা দিনপুঞ্জি তৈরীর করা হয়েছে তা হলো চান্দ

প্রতি এক বছরে সূর্যের চারদিক দিয়ে একবার করে ঘোরে। আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীতে (প্রায় সব জায়গাতে) রাত ও দিনের সৃষ্টি হয়। আর বার্ষিক গতির ফলে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কয়েকটি ঋতু – যেমন ইউরোপের চারটা আর বাংলাদেশের ছয়টা ঋতু। সমস্যা হল, আমরা সৌর ও চন্দ্রের হিসেবকে মিলিয়ে ফেলি। সৌর হিসেবে সৌদি আরবের সাথে আমাদের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা হলেও চন্দ্রের হিসেবে সৌদি আরব ও আমাদের পার্থক্য ২১ ঘণ্টার! পৃথিবীর গতির কথা তো সবাই জানি। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘুরে চলেছে প্রতিনিয়ত। যার আহ্নিক গতি বলি। গতিটা সহজে বোঝা যাবে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিক বা অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ (Anti Clockwise) বললে। চাঁদ তো ধীরে ধীরে আবর্তন করছে। ফলশ্রুতিতে প্রতিদিন পশ্চিম দেশ সবার আগে চাঁদের উন্মোচন দেখতে পায়।

আমরা তো জানিই, সূর্যোদয় হয় পূর্ব থেকে? তবে চাঁদের ক্ষেত্রে উল্টো। যদিও চাঁদ পূর্বে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়, তবুও পশ্চিমারা চাঁদের আলো সবার আগে পায়। কেন এক দেশে চাঁদ দেখা গেলেও অন্য দেশে দেখা যেতে দেরি হতে পারে। কেননা খালি চোখে চাঁদকে দেখতে হলে চন্দ্র আর সূর্যের মাঝে ১০.৫ ডিগ্রি কোণ থাকতেই হবে। এবং যে পরিমাণ দূরত্ব অর্জন করলে এই কোণ তৈরি হবে, সে পরিমাণ যেতে যেতে চাঁদের ১৭ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়। এ কারণেই আজ আমেরিকাতে চাঁদ দেখে গেলেই যে বাংলাদেশেও দেখা যাবে, সেটা ভুল ধারণা। যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই কোণ অর্থাৎ ১০.৫ ডিগ্রি অর্জন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেখা যাবে না। একই বিষয় সৌদি আরব ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও। এই সংকট কোণকে ইলঙ্গেশন (Elongation) বলে। তাই চাঁদের বয়স কত সেটা আদৌ আসল কথা নয়, সেই কোণ হয়েছে কিনা সেটার উপর নির্ভর করে চাঁদ দেখা যাবে কিনা। ফলে আমরা সৌদি আরব থেকে ৩ ঘণ্টা সূর্যের হিসেবে এগিয়ে থাকলেও, চাঁদের হিসেবে ২১ (২৪-৩=২১) ঘণ্টা পিছিয়ে আছি। ২১ ঘণ্টা প্রায় ১ দিন। অর্থাৎ আমরা প্রায় একদিন পিছিয়ে আছি। সেজন্যই সৌর বছরের হিসেবে একদিন পরে চাঁদ দেখি। তবে চন্দ্র বছরের কথা বললে আমরা সবাই একই দিনেই সব করি। তাই কারো এমনটা ভাবার কিছু নেই যে সবাই ভিন্ন দিনে রমজান বা ঈদ পালন করে। সবাই একই দিনেই পালন করে। কিন্তু সেটা যদি ইংরেজি বর্ষপঞ্জি দিয়ে যাচাই করেন, সেটা নিতান্তই বোকামি হবে। শেষ কথা হল, চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী পুরো পৃথিবীর সকলেই একই দিনে রমজান, ঈদ পালন করে। শুধু টাইমজোন (Timezone) আলাদা বলে এমনটা মনে হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ইদ/রোজা হয় কেন?

আপডেট সময় ০৭:০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 

প্রত্যেক বছর পবিত্র রমাজান মাসের শুরুতে কিংবা শেষে
এই দেশের মুসলিম কমিউনিটির সকলেই পশ্চিম আকাশে তাকিয়ে থাকে,রেডিও-টেলিভিশনে কান পেতে রাখে এই বুঝি খবর এলো এবারের রোজা শুরুর কিংবা ইদের ঘোষণা। অনেকই খেয়াল রাখেন সৌদি আরবের দিকে তারা কখন রোজা শুরু করল কিংবা ইদ ২৯ রমাজানের পর না ৩০ রমাজানের পর উদযাপন করছেন। আমাদের সমাজে একটা প্রতিষ্ঠিত মিথ হলো সৌদি আরবের একদিন পর আমাদের দেশে রোজা শুরু কিংবা ইদ উদযাপন হবে। অনেকেই দেখি এই নিয়ে ট্রল করার চেষ্টা করে এবং নানাভাবে উল্টোপাল্টা তথ্য দেয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জানার চেষ্টা করি কেন সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে রোজা শুরু কিংবা ইদ উদযাপন করা হয়।

বিশাল মহাবিশ্বের অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হলো আমাদের সৌরজগত। এখানে সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহগুলো ঘূর্ণায়মান আর গ্রহকে কেন্দ্র করে উপগ্রহগুলো ঘূর্ণায়মান। আহ্নিকগতি ও বার্ষিকগতি নামক দুইটা শব্দের সাথে সকলেই পরিচিত। আরো সহজ করে বললে পৃথিবীর দুইটা ঘোরার গতি আছে, একটা হল দৈনিক আর একটা হল বাৎসরিক। গোলাকার পৃথিবী-গোলকটা তার নিজের (উত্তর-দক্ষিন দিক বরাবর) অক্ষের উপরে (প্রায়) প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় একবার করে ঘোরে আগের অবস্থায় ফিরে আসে, এটাই হলো আহ্নিক গতি। আবার পৃথিবী ৩৬৫ দিনে সূর্যের চারদিকে ঘুরে তার আগের অবস্থানে ফিরে আসে, এটা হলো বার্ষিকগতি। এই সময় পৃথিবী সূর্যকে পৃথিবীর সাপেক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রদক্ষিণ করে (বিপ্রতীপ গতি বা ঘড়ির কাঁটার বিপরীত-Anti Clock wise)। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘূর্ণায়মান থাকায় পূর্বদিকে আগে সূর্যোদয় হয় অর্থাৎ পূর্বদিকের মানুষ আগে সূর্যকে দেখতে পায়। পৃথিবীর মানুষ সূর্যকে কেন্দ্র করে যে ক্যালেন্ডার বা দিনপুঞ্জি করেছে তা হলো সোলার বা সৌর দিনপঞ্জি। এই দিন পুঞ্জির ৩৬৫ দিন বা ১ বছর কে ১২ মাসে বিভক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চাঁদ হলো পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। এটি প্রতি ২৭.৩২১ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রম আবার ঘটে। পৃথিবী-চাঁদ-সূর্য তন্ত্রের জ্যামিতিতে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের কারণেই চন্দ্র কলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে থাকে। চাঁদ পৃথিবীকে যে অক্ষরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে, সে অক্ষরেখায় চাঁদ একদিন বা ২৪ ঘণ্টায় ১৩°কোণ অতিক্রম করে। সুতরাং পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১ সেকেন্ড। এই জন্য আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের একই পৃষ্ঠ দেখে থাকি। পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের শতকরা প্রায় ৫৯ ভাগ দেখতে পেয়ে থাকি। চাঁদকে কেন্দ্র করে যে ক্যালেন্ডার বা দিনপুঞ্জি তৈরীর করা হয়েছে তা হলো চান্দ

প্রতি এক বছরে সূর্যের চারদিক দিয়ে একবার করে ঘোরে। আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীতে (প্রায় সব জায়গাতে) রাত ও দিনের সৃষ্টি হয়। আর বার্ষিক গতির ফলে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কয়েকটি ঋতু – যেমন ইউরোপের চারটা আর বাংলাদেশের ছয়টা ঋতু। সমস্যা হল, আমরা সৌর ও চন্দ্রের হিসেবকে মিলিয়ে ফেলি। সৌর হিসেবে সৌদি আরবের সাথে আমাদের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা হলেও চন্দ্রের হিসেবে সৌদি আরব ও আমাদের পার্থক্য ২১ ঘণ্টার! পৃথিবীর গতির কথা তো সবাই জানি। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘুরে চলেছে প্রতিনিয়ত। যার আহ্নিক গতি বলি। গতিটা সহজে বোঝা যাবে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিক বা অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ (Anti Clockwise) বললে। চাঁদ তো ধীরে ধীরে আবর্তন করছে। ফলশ্রুতিতে প্রতিদিন পশ্চিম দেশ সবার আগে চাঁদের উন্মোচন দেখতে পায়।

আমরা তো জানিই, সূর্যোদয় হয় পূর্ব থেকে? তবে চাঁদের ক্ষেত্রে উল্টো। যদিও চাঁদ পূর্বে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়, তবুও পশ্চিমারা চাঁদের আলো সবার আগে পায়। কেন এক দেশে চাঁদ দেখা গেলেও অন্য দেশে দেখা যেতে দেরি হতে পারে। কেননা খালি চোখে চাঁদকে দেখতে হলে চন্দ্র আর সূর্যের মাঝে ১০.৫ ডিগ্রি কোণ থাকতেই হবে। এবং যে পরিমাণ দূরত্ব অর্জন করলে এই কোণ তৈরি হবে, সে পরিমাণ যেতে যেতে চাঁদের ১৭ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়। এ কারণেই আজ আমেরিকাতে চাঁদ দেখে গেলেই যে বাংলাদেশেও দেখা যাবে, সেটা ভুল ধারণা। যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই কোণ অর্থাৎ ১০.৫ ডিগ্রি অর্জন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেখা যাবে না। একই বিষয় সৌদি আরব ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও। এই সংকট কোণকে ইলঙ্গেশন (Elongation) বলে। তাই চাঁদের বয়স কত সেটা আদৌ আসল কথা নয়, সেই কোণ হয়েছে কিনা সেটার উপর নির্ভর করে চাঁদ দেখা যাবে কিনা। ফলে আমরা সৌদি আরব থেকে ৩ ঘণ্টা সূর্যের হিসেবে এগিয়ে থাকলেও, চাঁদের হিসেবে ২১ (২৪-৩=২১) ঘণ্টা পিছিয়ে আছি। ২১ ঘণ্টা প্রায় ১ দিন। অর্থাৎ আমরা প্রায় একদিন পিছিয়ে আছি। সেজন্যই সৌর বছরের হিসেবে একদিন পরে চাঁদ দেখি। তবে চন্দ্র বছরের কথা বললে আমরা সবাই একই দিনেই সব করি। তাই কারো এমনটা ভাবার কিছু নেই যে সবাই ভিন্ন দিনে রমজান বা ঈদ পালন করে। সবাই একই দিনেই পালন করে। কিন্তু সেটা যদি ইংরেজি বর্ষপঞ্জি দিয়ে যাচাই করেন, সেটা নিতান্তই বোকামি হবে। শেষ কথা হল, চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী পুরো পৃথিবীর সকলেই একই দিনে রমজান, ঈদ পালন করে। শুধু টাইমজোন (Timezone) আলাদা বলে এমনটা মনে হয়।