ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ডাক পরিষেবা স্থগিত করল ভারত ৬৩ বছরের অপেক্ষা ভাঙল আত্মঘাতী গোলে, বার্সেলোনার ঐতিহাসিক জয় আজ থেকে শুরু সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের শুনানি ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়ায় মন্ত্রিসভার বিরোধ, অবশেষে পদত্যাগ ইয়োকেরেস-টিম্বারের জোড়ায় দাপুটে জয় পেল আর্সেনাল রাশিয়ার ভেতরে হামলায় ইউক্রেনকে ‘না’ বলল পেন্টাগন শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে আজ সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ নাটোরে বাসচাপায় প্রাণ গেল ভ্যানচালকসহ ২ জনের ক্যামেরুন সীমান্তে বিমান হামলায় ৩৫ জন নিহত: নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী অভিযুক্ত স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি : মঈন খান

পবিত্র আশুরায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল, শোকে আচ্ছন্ন পুরান ঢাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 36

ছবি সংগৃহীত

 

 

কালো পাঞ্জাবি, খালি পা আর মাথায় কালো পতাকা বেঁধে মাতম তুলে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বের হয়েছে তাজিয়া মিছিল। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে এই মিছিল শুরু হয়।

ভোর থেকে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কারবালার শোকগাথা স্মরণে আয়োজিত এ মিছিল হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ কালো পোশাক পরে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকের হাতেই ছিল নিশান, আলম, দুলদুল ঘোড়া। পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. ইমন জানান, ‘ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আমরা সেই শোকের স্মরণে মিছিলে অংশ নিয়েছি।’

হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মীর জুলফিকার আলী বলেন, ‘কয়েক শ বছর ধরে এই তাজিয়া মিছিল হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নতুন প্রজন্মসহ সকলকে জানানো হয়।’

মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মিছিল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তারা সামনে ও পেছনে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাস্তে, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন করা যাবে না। এছাড়া আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ ১০ মহররম, মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত শোকের দিন। আরবি ‘আশারা’ অর্থ দশ, সেখান থেকেই এসেছে আশুরা শব্দ। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররমের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন। এই শোকগাথা মনে রেখেই বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় আশুরা পালন করে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পবিত্র আশুরায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল, শোকে আচ্ছন্ন পুরান ঢাকা

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

 

কালো পাঞ্জাবি, খালি পা আর মাথায় কালো পতাকা বেঁধে মাতম তুলে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বের হয়েছে তাজিয়া মিছিল। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে এই মিছিল শুরু হয়।

ভোর থেকে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কারবালার শোকগাথা স্মরণে আয়োজিত এ মিছিল হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ কালো পোশাক পরে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকের হাতেই ছিল নিশান, আলম, দুলদুল ঘোড়া। পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. ইমন জানান, ‘ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আমরা সেই শোকের স্মরণে মিছিলে অংশ নিয়েছি।’

হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মীর জুলফিকার আলী বলেন, ‘কয়েক শ বছর ধরে এই তাজিয়া মিছিল হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নতুন প্রজন্মসহ সকলকে জানানো হয়।’

মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মিছিল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তারা সামনে ও পেছনে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাস্তে, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন করা যাবে না। এছাড়া আতশবাজি ও পটকা ফোটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ ১০ মহররম, মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত শোকের দিন। আরবি ‘আশারা’ অর্থ দশ, সেখান থেকেই এসেছে আশুরা শব্দ। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররমের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন। এই শোকগাথা মনে রেখেই বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় আশুরা পালন করে থাকে।