ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল মিছিল, রাজনীতির প্রতি হতাশ জনতা শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও আশা ছাড়ছে না আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি, ন্যায়বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ কারা অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর শাস্তি: চাকরিচ্যুত ১২, বরখাস্ত ৮৪ কর্মকর্তা পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন আইন আসছে শিগগিরই: প্রেস সচিব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ রাঙামাটিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ৫ দফা দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সমাবেশ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির

যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় প্রদান করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর এবং জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অবমাননাকর, ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।

এর পরই যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এবং ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই মামলায় ৯ বছর পর, আদালত আজ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

বিচারকের এই রায়ে দলীয় নেতারা খুশি হলেও, মামলার দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং প্রমাণের অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে, তবে সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেন।

এই রায়ের পর বিএনপি নেতারা বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই মামলাটি চালানো হয়েছিল। তারা দাবি করেছেন, এর মাধ্যমে তারেক রহমানকে চাপে রাখা এবং রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগে পক্ষ থেকে মামলার সঠিক তদন্তের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, তবে তারা এ বিষয়ে আরও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:২৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত

আপডেট সময় ০২:২৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় প্রদান করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর এবং জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অবমাননাকর, ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।

এর পরই যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এবং ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই মামলায় ৯ বছর পর, আদালত আজ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

বিচারকের এই রায়ে দলীয় নেতারা খুশি হলেও, মামলার দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং প্রমাণের অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে, তবে সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেন।

এই রায়ের পর বিএনপি নেতারা বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই মামলাটি চালানো হয়েছিল। তারা দাবি করেছেন, এর মাধ্যমে তারেক রহমানকে চাপে রাখা এবং রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগে পক্ষ থেকে মামলার সঠিক তদন্তের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, তবে তারা এ বিষয়ে আরও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে।