ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় প্রদান করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর এবং জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অবমাননাকর, ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।

এর পরই যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এবং ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই মামলায় ৯ বছর পর, আদালত আজ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

বিচারকের এই রায়ে দলীয় নেতারা খুশি হলেও, মামলার দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং প্রমাণের অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে, তবে সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেন।

এই রায়ের পর বিএনপি নেতারা বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই মামলাটি চালানো হয়েছিল। তারা দাবি করেছেন, এর মাধ্যমে তারেক রহমানকে চাপে রাখা এবং রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগে পক্ষ থেকে মামলার সঠিক তদন্তের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, তবে তারা এ বিষয়ে আরও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত

আপডেট সময় ০২:২৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় প্রদান করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর এবং জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অবমাননাকর, ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।

এর পরই যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এবং ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই মামলায় ৯ বছর পর, আদালত আজ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

বিচারকের এই রায়ে দলীয় নেতারা খুশি হলেও, মামলার দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং প্রমাণের অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে, তবে সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেন।

এই রায়ের পর বিএনপি নেতারা বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই মামলাটি চালানো হয়েছিল। তারা দাবি করেছেন, এর মাধ্যমে তারেক রহমানকে চাপে রাখা এবং রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগে পক্ষ থেকে মামলার সঠিক তদন্তের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, তবে তারা এ বিষয়ে আরও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে।