ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কানাডার ফিলিস্তিন সিদ্ধান্তের জবাবে ট্রাম্পের বাণিজ্যিক প্রতিশোধ ট্রাম্প বললেন ‘ভারত চাইলে অর্থনীতি ডুবাক’- তেল আমদানিতে ধাক্কা বাংলাদেশের শুল্ক আলোচনায় কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন ড্যানিলোভিচ সেনবাগ থানা পুলিশের অভিযানে নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ রংপুরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ৫ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা শুনবেন: আসিফ নজরুল ‘জুলাই সনদ’ না দেওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ প্রশংসায় অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর,সন্তান কোলে নিয়েই পার্লামেন্টে ভাষণ

“শিবিরের নির্দেশে কাজ করিনি, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার” — নাহিদ ইসলাম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রশিবিরের ‘নির্দেশে’ কাজ করার অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এই অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটি টকশোতে দাবি করেছেন, ছাত্রশক্তির গঠন প্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল এবং তাদের ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী আমরা কাজ করতাম—এই বক্তব্য একেবারেই ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, জাতীয় সরকার সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে তারা পাননি। এ বক্তব্যের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানান নাহিদ। তিনি জানান, ৫ আগস্ট রাতের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ছাত্র পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এবং পরে তারেক রহমানের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তারেক রহমান এতে সম্মত হননি এবং পরিবর্তে নাগরিক সমাজের সদস্যদের নিয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পরামর্শ দেন।

নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে লেখেন, “ছাত্রশক্তির গঠনে মূলত ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্র, ঢাবি ছাত্র অধিকার আন্দোলনের সাবেক কিছু সদস্য এবং জাহাঙ্গীরনগরের একটি স্টাডি সার্কেল যুক্ত ছিল। শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সত্য, তবে কোনোভাবেই তারা আমাদের প্রক্রিয়ার অংশ ছিল না।”

তিনি দাবি করেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন না, তবুও ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় ব্যবহার করেছেন। শিবিরের কিছু সদস্যকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার সুযোগ দেওয়া হলেও তা ছিল সীমিত ভূমিকার কারণে। কিন্তু পরবর্তীতে শিবিরপন্থী অংশগুলো আন্দোলনের নেতৃত্ব দাবি করে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়েছে।

নাহিদ আরও বলেন, “২ আগস্ট রাতে জুলকারনাইন সায়েরের নেতৃত্বে একটি সামরিক ক্যুয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ সময় ছাত্র সমন্বয়কদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে বলা হয় যেন তারা একদফার ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে প্রচার চালায় এবং আমাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমরা বরাবরই বলেছি, একদফার ঘোষণা মাঠ থেকে আসতে হবে, ফেসবুক থেকে নয়।”

তিনি উল্লেখ করেন, অভ্যুত্থানকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া মানেই আরেকটা ১/১১-এর পুনরাবৃত্তি, যা আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করতে পারে। তাই গণঅভ্যুত্থানকে জনগণের আন্দোলন হিসেবে সফল করতে হবে, এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্ত করে সামনে এগোতে হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও দাবি করেন, “সায়ের গোষ্ঠী বারবার আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে চেয়েছে, আর সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করেছে। তারা এখনো প্রোপাগান্ডা, কল রেকর্ড ফাঁস, চরিত্রহননসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তবে মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে কেউ বেশিদিন টিকতে পারে না—এরাও পারবে না।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

“শিবিরের নির্দেশে কাজ করিনি, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার” — নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় ০৪:৩১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

 

জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রশিবিরের ‘নির্দেশে’ কাজ করার অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এই অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটি টকশোতে দাবি করেছেন, ছাত্রশক্তির গঠন প্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল এবং তাদের ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী আমরা কাজ করতাম—এই বক্তব্য একেবারেই ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, জাতীয় সরকার সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে তারা পাননি। এ বক্তব্যের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানান নাহিদ। তিনি জানান, ৫ আগস্ট রাতের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ছাত্র পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এবং পরে তারেক রহমানের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তারেক রহমান এতে সম্মত হননি এবং পরিবর্তে নাগরিক সমাজের সদস্যদের নিয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পরামর্শ দেন।

নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে লেখেন, “ছাত্রশক্তির গঠনে মূলত ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্র, ঢাবি ছাত্র অধিকার আন্দোলনের সাবেক কিছু সদস্য এবং জাহাঙ্গীরনগরের একটি স্টাডি সার্কেল যুক্ত ছিল। শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সত্য, তবে কোনোভাবেই তারা আমাদের প্রক্রিয়ার অংশ ছিল না।”

তিনি দাবি করেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন না, তবুও ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় ব্যবহার করেছেন। শিবিরের কিছু সদস্যকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার সুযোগ দেওয়া হলেও তা ছিল সীমিত ভূমিকার কারণে। কিন্তু পরবর্তীতে শিবিরপন্থী অংশগুলো আন্দোলনের নেতৃত্ব দাবি করে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়েছে।

নাহিদ আরও বলেন, “২ আগস্ট রাতে জুলকারনাইন সায়েরের নেতৃত্বে একটি সামরিক ক্যুয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ সময় ছাত্র সমন্বয়কদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে বলা হয় যেন তারা একদফার ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে প্রচার চালায় এবং আমাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমরা বরাবরই বলেছি, একদফার ঘোষণা মাঠ থেকে আসতে হবে, ফেসবুক থেকে নয়।”

তিনি উল্লেখ করেন, অভ্যুত্থানকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া মানেই আরেকটা ১/১১-এর পুনরাবৃত্তি, যা আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করতে পারে। তাই গণঅভ্যুত্থানকে জনগণের আন্দোলন হিসেবে সফল করতে হবে, এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্ত করে সামনে এগোতে হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও দাবি করেন, “সায়ের গোষ্ঠী বারবার আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে চেয়েছে, আর সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করেছে। তারা এখনো প্রোপাগান্ডা, কল রেকর্ড ফাঁস, চরিত্রহননসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তবে মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে কেউ বেশিদিন টিকতে পারে না—এরাও পারবে না।”